
পুলিশের সাহায্যে একটি বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান চাকরির দিয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আজ আলমগীরকে আমার কার্যালয়ে ডেকে অনেকক্ষণ কথা বলি। জানতে চাই কেন বিজ্ঞাপন তিনি দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর জীবনের অভাবের কথা বলেন। এর পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ খুঁজে পাইনি। এমনি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য মেলেনি।
পুলিশের সঙ্গে অনেক সংস্থাই তাঁকে চাকরি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তার মধ্যে এসিআই নামে এক শিল্প প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বগুড়ায় এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। একটি পরীক্ষাও নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই নিয়োগপত্র চলে আসে তাঁর নামে। আলমগীর কবিরকে ওই প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ করেছে।
এতদিনে কিছুটা সুখের মুখ দেখতে চলেছেন আলমগীর। কিন্তু এতদিন তাঁর চলত কী করে? আলমগীর স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘মূলত খাবারের কষ্ট থেকেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি। এই মুহূর্তে আমার একটি টিউশনি আছে। সেখানে রাতে পড়াই। তারা আগে জলখাবার দিত। পরে আমি তাদের বলেছি, জলখাবারের বদলে রাতে ভাত খাওয়াতে।’
রাতের খাবার এভাবে জুটে গেলেও দিনের খাবার পেতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁকে। মাত্র দেড় হাজার টাকাতে টেনেটুনে মাস চালাতেন আলমগীর। এই অবস্থা থেকেই আলমগীর পড়াতে চেয়েছিলেন, দু’বেলা ভাতের বিনিময়ে। এতে তাঁর খাবার কষ্টও মেটে, আবার কোনও এক ছাত্র-ছাত্রী পড়ার সুযোগও পায়।