
বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত সেতুর ৪৬ শতাংশ রেলের কাজ ও জাজিরা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সেতুর ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে সড়কপথ ও রেলপথের কাজ চলছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
এদিন রেলমন্ত্রী আরও জানান, এই সেতু না থাকায় এতদিন অনেক মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পদ্মার প্রচণ্ড স্রোতের ফলে কিংবা কখনও কুয়াশার ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়তে হত সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই সেতু একবার তৈরি হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না কাউকে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলমন্ত্রীর কথায়, পদ্মার উপর এই সেতু তৈরি হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বাড়বে।
পদ্মার উপর এই সেতু নির্মাণের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন, এই সেতুতে ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ফলে সেতুর দৃশ্যমানতা প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকবে। অবশ্য ১০ জুনের পরে পদ্মায় জল বেড়ে যাওয়ার ফলে স্প্যান বসানোর কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলি স্প্যান বসে যাবে বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, পদ্মার উপর এই সেতু তৈরির জন্য মোট ২৯১৭ টি স্ল্যাব তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই ১০১০ টি স্ল্যাব বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মাসেই আরও হাজারটি স্ল্যাব বসিয়ে দেওয়া যাবে বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পদ্মা সেতুর স্প্যানের নীচের অংশের মোট ২৯৫৯ টি স্ল্যাব দরকার। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৫৮৪ টি স্ল্যাব বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এই সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত ওপার বাংলার মানুষরা। তাঁদের বক্তব্য, এই সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাইলফলক হতে চলেছে। এই সেতু একবার তৈরি হয়ে গেলে তার ফলে শুধু মানুষের যাতায়াত নয়, তার সঙ্গে দেশের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে বলেই তাঁদের ধারণা।