
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী গ্রেফতার, ২২ বছর লুকিয়ে ছিল কলকাতায়
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মামলা চলার পর মুজিবুর রহমানের পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুখ রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাঁসি হয় তাদের। আরও ছয় হত্যাকারী পলাতক ছিল। তাদের মধ্যে ধরা পড়ল আবদুল মাজেদ।
মঙ্গলবার ঢাকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছে, “বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামী আবদুল মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হবে।”
এদিন বেলার দিকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয় মাজেদকে। জানা গিয়েছে, সাব ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান তার জেল হেফাজতের আবেদন করেন। কোনও উকিলই মাজেদের হয়ে সওয়াল করতে রাজি হননি। আদালতে দাঁড়িয়ে মাজেদ জানায়, সে প্রায় ২২ বছর কলকাতায় লুকিয়ে ছিল। সব শুনে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এম জুলফিকার হায়াত মাজেদকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় মাজেদকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৈরি ছিল কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইমের কর্মীরা। গা ঢাকা দিয়ে মাজেদের অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। মাজেদ সেখানে আসতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তার পরিচয় খতিয়ে দেখে পুলিশ। নিশ্চিত হওয়ার পরেই তাকে আদালতে তোলা হয়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ৩৪ বছর পরে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা হয় এই মামলার। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মামলা চলার পর মুজিবুর রহমানের পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুখ রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাঁসি হয় তাদের। আরও ছয় হত্যাকারী পলাতক ছিল। তাদের মধ্যে ধরা পড়ল আবদুল মাজেদ।