
আপার সিয়াং জেলার বাসিন্দা মিরাম। পাহাড়ি লুংটা জোর এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বিরুদ্ধে। সীমান্ত এলাকা থেকে ভেষজ উদ্ভিদ কুড়োতে গিয়ে চিনা সেনার হাতে বন্দি হয় মিরাম। তার থেকেই খোঁজ ছিল না তাঁর। মিরামের এক বন্ধুকেও অপহরণ করে চিনের সেনারা। সেই কিশোর পালিয়ে এসে সবটা জানায়। তারপরেই অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ তাপির গায়ো টুইট করে খবর জানান।
কিশোরের বাবা বলছেন, মিরামকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটা ঘরে বন্দি করে রেখেছিল চিনের সেনারা। তার হাত ও পা সবসময় পিছমোড়া করে বাঁধা থাকত। চোখ বেঁধে রাখা হত কাপড়ে। চিনের সেনারা মারধর করত, পেছনে লাথি মারত। রোজ ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হত তাকে। তবে দু’বেলা ঠিকমতো খাবার দিত তারা। সেখান থেকে ফিরে এসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে কিশোর। চূড়ান্ত ট্রমার মধ্যে আছে সে।
ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতায় প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন ওয়াচা-দামাই পয়েন্টে কিশোরকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় চিনের সেনারা। সেখান থেকে তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনে ভারতীয় বাহিনী।
ডেপুটি কমিশনার শাশ্বত সৌরভ বলছেন, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অরুণাচলি যুবকরা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে আসে। শিকার ধরতে যায় তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই গুল্ম চড়া দামে বিক্রি হয়। জঙ্গলে সীমান্ত নির্দিষ্ট না-থাকায় হয়তো তাঁরা চিনা বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায়। তখনই তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায় লাল সেনা।
এর আগেও একাধিকবার অরুণাচলের সীমান্ত লাগোয়া নানা গ্রাম থেকে স্থানীয় লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে লাল ফৌজের বিরুদ্ধে। আপার সুবনসিরির নাচো সেক্টর থেকে পাঁচ যুবককে অপহরণ করেছিল চিনা সেনারা। ওই এলাকা ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ১০০ কিলোমিটার দূরে। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় বাহিনীর সংঘাতের আবহেই একের পর এক এমন ঘটনা উত্তেজনা তৈরি করে।