
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীর্ঘদিন ধরেই উৎপাত চলছিল তার। বাজারে, রাস্তাঘাটে যখন তখন দেখা মিলছিল তার। গায়ের রঙ মিশকালো, আকৃতিতে বিশাল। এমন চেহারার ষাঁড় বাবাজিকে দেখে ভয়ে কাঁপছিল দুর্গাপুরের অন্ডাল। তার হামলায় আহতও হয়েছেন অনেকেই। তবে বুধবার রাতে তার হামলার মুখে পড়ে গুরুতর জখম হন জয়সওয়াল নামে এক যুবক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ‘বাহুবলি’ হামলা চালাচ্ছিল এলাকায়। তবে বুধবার তা মাত্রারিক্ত হয়ে যায়। তার গুঁতোয় গুরুতর জখম হন এক স্থানীয় যুবক। অবস্থায় রাজুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনার পর থেকেই ষাঁড়কে নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।
স্থানীয়রা প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে ভয়ংকর সেই ষাঁড়টিকে এলাকা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পঞ্চায়েতের দাবি, এতো আর বণ্যপ্রাণী নয় যে বন দফতরকে খবর দেবেন! তবে শেষমেশ ষাঁড়টিকে পাকড়াও করা হয়। দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে বাগে আনার চেষ্টা করা হয় তাকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সপ্তাহের মধ্যে চারজনকে গুঁতিয়েছে সেই ষাঁড়। বুধবার রাতে রাজেশ জসওয়াল নামের সেই যুবককে গুঁতিয়ে পেটের নাড়িভুড়ি বার করে দেয় বাহুবলী। অন্ডাল থানা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজেশকে তড়িঘড়ি দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে থেকে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা যায়, মাতাল রাজু উত্তেজনার মাথায় ষাঁড়ের সঙ্গে একহাত নিতে গেছিলেন তিনি। তাতেই বিপত্তি। যুবককে মাটিতে ফেলে তাঁর পেট ফাঁসিয়ে দেয় ষাঁড়। তারপরই গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করেন তাঁকে।
বিডিও এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের তৎপরতায় এরপরই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। ষাঁড়টিকে ধরে ট্রাংকুলাইজার দেন সেই দল। পরে জানা যায়, এতেই ষাঁড়টি হার্টফেল করে। মারাও যায়। তবে বয়স জনিত কারণেই ষাঁড়ের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন পশু চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে বাঁকুড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাজেশ সুস্থ আছেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। কিন্তু বাহুবলীর আতঙ্কের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অন্ডালবাসী। তবে কারও কারও আক্ষেপ, ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করতে যাওয়া উচিত হয়নি যুবকের।