
মঙ্গলবার দুপুরে যখন প্রথম সংঘর্ষের খবর আসে তখন জানা যায়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্নেল ও দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। তারপর চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের এক সিনিয়র সাংবাদিক এবং প্রধান সম্পাদকও চিনের তরফে হতাহতের কথা স্বীকার করে নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন। ভারতের তরফে বলা হয় পিপলস লিবারেশন আর্মির ৪৩ জন হতাহত হয়েছে। তবে মৃত্যু কতজনের তা বলেনি নয়া দিল্লিও।
ওই মার্কিন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতের মধ্যে যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার উপর কড়া নজর রাখছে ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, “আমরা জেনেছি ভারতের ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। অন্যদিকে চিনের সেনাদেরও মৃত্যু হয়েছে। ভারত এবং চিন দু’পক্ষেরই উচিত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি ফিরিয়ে আনা।”
প্রসঙ্গত, এ মাসের শুরুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে কথা হয়। সেখানে যেমন কোভিড পরিস্থিতির কথা উঠে এসেছিল তেমনই লাদাখের পরিস্থিতি নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, চাইলে তিনি ভারত-চিন সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারেন। যদিও সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি।
সন্দেহ নেই, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে আন্দোলিত হয়েছে দেশ। ভারতের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপোস করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বুধবার স্পষ্ট বলেন, ভারত শান্তি চায়। তবে উস্কানি দিলে পাল্টা জবাব দিতেও জানে। তবে উত্তেজনা প্রশমনে লাদাখে যেমন সেনাস্তরে আলোচনা চলছে তেমনই দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যেও অব্যাহত কূটনৈতিক কথোপকথন।