
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তিনটে বড় অভিযান। ৯ জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। গতকাল রাত থেকে শ্রীনগরে শুরু হয় এনকাউন্টার। পাঠানচকের কাছে জইশ নতুন ডেরা বেঁধেছে এমন খবর পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। ভোর রাতে আচমকা হামলা চালায় বাহিনী। পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তিন জঙ্গিকে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, কাশ্মীর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছিল উপত্যকার অনেক জঙ্গিই। পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে সাধারণ জীবনযাপন করছিল তারা। কিন্তু এখন ফের তাদের মধ্যেও সক্রিয়তা দেখা গেছে। খবর মিলেছে, এইসব জঙ্গিদের টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সম্প্রতি আইএসআই-এর সঙ্গে হিজবুল মুজাহিদিন ও জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর কম্যান্ডারদের বৈঠক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীর থেকে ফের তরুণ জঙ্গিদের দলে টানার চেষ্টা চলছে। উপত্যকায় সন্ত্রাস তৈরি করার ছকও কষছে আইএসআই।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মাথারা আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের বেছে ভারতে পাঠাত। উপত্যকার কম্যান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। কিন্তু এখন সে রাস্তা প্রায় বন্ধ। তাই সাইবার প্রযুক্তির সুবিধার নিয়ে এই কাজ শুরু হয়েছে। একাধিক ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, গোপন লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছর অনলাইনে ডজন খানেক জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করা হয়েছিল।