
শত্রু সেনার যুদ্ধবিমান ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলায় এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের কোনও বিকল্প নেই। এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ হল সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা স্থল ও আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। ভারত এমন সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা হাতে পেল যখন চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা চরমে উঠেছে। একদিকে লাদাখ ও অন্যদিকে সিকিম, অরুণাচল ও ভুটানের ত্রিদেশীয় সীমান্তে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে চিন। পাক সেনারাও সংঘর্ষচুক্তি ভেঙে সীমান্তে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থায় চিন এখনও অনেক এগিয়ে। তিব্বতে এস-৪০০ সিস্টেম মোতায়েনও করে ফেলেছে চিন। তাই এমন পরিস্থিতিতে দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশকে শত্রু সেনার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম বসাচ্ছে ভারত।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে চিনের কাছেও এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম হল এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। এর এক একটি ইউনিটে থাকে ভূমি থেকে আকাশে অর্থাৎ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, দূর-পাল্লার সার্ভিল্যান্স রাডার, অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট রাডার, কম্যান্ড ভেহিকল এবং ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টর-লঞ্চার ভেহিকল বা টেল ভেহিকল।
এই মিসাইল সিস্টেমের রাডার ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত টার্গেট দেখতে পায়। অন্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্র এর প্রতিরোধে টার্গেট করা হয়েছে কিনা সেটা ধরা পড়ে এই রাডার সিস্টেমে। এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ভূমিকা হল এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি। চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত থাকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশপথে আসা নানা ধরনের আক্রমণকে রুখে দিতে সক্ষম এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে এমন শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে।