
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নিউ গড়িয়া (New Garia) স্টেশন। রাতে শিয়ালদহ যাওয়ার শেষ ট্রেন ১১টা ২৪ মিনিটে। কিন্তু সেই ট্রেনে যদি কেউ শিয়ালদহ যেতে চান তাঁকে বিনা টিকিটে যেতে হবে। শুধু শেষ ট্রেন কেন। তার আগে অন্তত খান পাঁচেক ট্রেনে আপে বা ডাউনে কোথাও যেতে হলে নিউ গড়িয়া থেকে টিকিট কাটতে পারবেন না যাত্রীরা।
কেন? কারণ রাত দশটার পরে কাউন্টারের (Ticket Counter) ঝাপ বন্ধ হয়ে যায় (Close)। পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া রয়েছে—সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা কাউন্টার।
এমনিতে অনেক স্টেশনেই রেলের কর্মী সংখ্যা অপ্রতুল। এমন অনেক স্টেশন রয়েছে যেগুলির দু’পারে টিকিট কাউন্টার রয়েছে। ইদানিং একটি কাউন্টার বাদ দিয়ে অন্যটি বন্ধ করে রাখা হচ্ছে পুরো সময়ের জন্য।
নিউ গড়িয়ার ক্ষেত্রে আবার শেষ ট্রেন যাওয়ার দেড় ঘণ্টা আগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাউন্টার। রেল অবশ্য বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। কিন্তু যাত্রীদের বক্তব্য , রাতে টিকিট না কেটে ট্রেনে উঠলে শিয়ালদহে যদি চেকার ধরেন, তাহলে কী হবে? অনেকের বক্তব্য, চেকারের ভয়ে তাঁরা নিউ গড়িয়ার বদলে অটো করে গিয়ে গড়িয়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরছেন।
তৃণমূলের কাউন্সিলর শিপুল সবজি বিক্রি ছাড়েননি, লড়াই যেন তাঁর সহজাত
এমনকি যাঁরা মেট্রো ধরে কবি সুভাষে নামেন, তাঁরাও দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরতে হলে টিকিট কাটতে পারেন না। ফলে এতে তো যাত্রীদের বিনা টিকিটে যেতে একপ্রকার বাধ্য হতে হচ্ছেই সেইসঙ্গে ক্ষতি হচ্ছে রেলেরও।
সাম্প্রতিক একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে রেলের প্রাত ১১ লক্ষ কর্মী অবসর নিয়েছেন, তাঁদের জায়গায় লোক নিয়োগ হয়নি। ফলে ব্যাপক চাপ তৈরি হচ্ছে কর্মরতদের উপর। টিকিট কাউন্টারে যাঁরা ডিউটি করেন তাঁদের অনেকে টানা মর্নিং, ডে, নাইট শিফট করে ফিরতে হচ্ছে। পরের দিন আবার হাফবেলা ডিউটি। বহু স্টেশনে ব্যস্ত সময়ে সাফাইকর্মীদেরও দেখা যাচ্ছে টিকিট দিতে। অনেকের মতে, কর্মী সংকটই এর প্রধান কারণ।