
জানা গেছে, যাদবপুর, কাশীপুর এবং নিউমার্কেটের তিনটি এটিএম থেকে জালিয়াতি করে টাকা গায়েব করেছে দুষ্কৃতীরা। আরও কোন কোন এটিএম তাদের নজরে রয়েছে তা অনিশ্চিত। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, যাদবপুরের এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, নিউমার্কেটের এটিএম থেকে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং কাশীপুরের এটিএম থেকে ৭ লক্ষ টাকা বেআইনি তোলা হয়েছে। মেশিন না ভেঙে কীভাবে এটিএমের হাই সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ফাঁপরে পড়েছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের অভিমত, বিশেষ এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেই এই অসাধ্য সাধন করা হচ্ছে।
ওই বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে নাকি এটিএম মেশিন তারের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। যত টাকা বের করার কথা এটিএম মেশিনকে বলা হচ্ছে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি টাকা আদতে বেরিয়ে আসছে। কার্ড দিয়েই টাকা তোলা হচ্ছে বলে খবর। এই অপরাধ চক্রের জাল দ্রুত ভেস্তে দিতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন।
লালবাজারের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান এটিএম মেশিনের সফটওয়্যারের সঙ্গে কিছু কারসাজি করা হচ্ছে, যার ফলে এই ঘটনা ঘটছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে শুরু হয়েছে তদন্ত। খুব শিগগিরই এই রহস্যের নিষ্পত্তি হবে, আশাবাদী লালবাজার।