
সঞ্জীব আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগে করেন, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা লড়ার জন্য তাঁর থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন নাজিয়া। কিন্তু মামলা লড়েননি। এরপর গতবছর গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। এরপর বার কাউন্সিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, কলকাতায় এমন কোনও আইনজীবী নেই। এরপরই তদন্তে নামে গিরিশ পার্ক থানা।
এদিন নাজিয়াকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি। কোনও নেতাই নাজিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে নাজিয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে খবর। শুধু তাই নয়। একুশের ভোট প্রচারে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে নাজিয়াকে জেলায় জেলায় কর্মসূচিতে যেতে দেখা যেত।
এর আগে কোকেন কাণ্ডে পামেলার গ্রেফতারিতেও ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। পামেলা ছিলেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার অন্যতম পদাধিকারী। তাঁকে গ্রেফতার করেছিল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। এমনিতেই এখন চারিদিকে ভুয়োতে ছয়লাপ। সেই যে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে দিয়ে শুরু হয়েছিল তারপর ভুয়ো সিবিআই, ভুয়ো আইপিএস—চলেই চলেছে। এবার ভুয়ো আইনজীবী অভিযোগে পুলিশের জালে বিজেপি নেত্রী।