Latest News

নওসাদকে নিয়ে যাওয়া হল লালবাজারে, ধর্মতলায় পড়ে ইট-কাঁদানে গ্যাসের শেল!

দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার থেকেই তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙর। বোমাবাজি, আগুন, মারপিট— সবমিলিয়ে অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয়। শনিবার সকাল থেকেই ভাঙরের আঁচ এসে পড়ে কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রানি রাসমণি রোডে জমায়েত শুরু করেন আইএসএফের কর্মী সমর্থকেরা। ছিলেন ভাঙরের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিও (Nawsad Siddique)। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক অবরুদ্ধ থাকে ধর্মতলা (Dharmatala)। তারপরই পুলিশ আইএসএফের বিক্ষোভ তোলার চেষ্টা করতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি, পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। শেষে টেনে হিঁচড়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নওসাদকেও প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজার নিয়ে যায় পুলিশ।

শুক্রবার রাতে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র ঝামেলার সূত্রপাত হয়। বেঁধে যায় হাতাহাতি। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ইট বৃষ্টি শুরু হয়। তৃণমূল কর্মীর মাথায় ইটের আঘাত লাগে। রাতভরই চলে দফায় দফায় অশান্তি।

এই ঘটনাই শনিবার বড় আকারে সামনে আসে। এদিন রানি রাসমণিতে মিটিং ছিল আইএসএফের। অভিযোগ, সেই মিটিংয়ে যোগ দিতে আসার সময় নওসাদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা করে তৃণমূল সমর্থকেরা। নওশাদ ধর্মতলার সভা মঞ্চে পৌঁছতেই আইএসএফ সমর্থকরা, তৃণমূল নেতা আরাবুলের গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকে।

তারপরই ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে আইএসএফ সমর্থকেরা ও নওশাদ এগিয়ে আসতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় নওসাদ সহ বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে দীর্ঘসময় বন্ধ হয়ে যায় ধর্মতলার যান চলাচল। ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।

ধর্মতলা অগ্নিগর্ভ! পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, চলল টিয়ারগ্যাস

You might also like