
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতীয় পশু ঘোষণা করা হোক গরুকে (National Animal Cow)। এমনই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক জনস্বার্থের মামলা দায়ের হয়েছিল। আজ, সোমবার সেই মামলাগুলির শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি এসকে কৌল এবং অভয় সিং ওইকার বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, কেন এমন বিচিত্র দাবি করা হচ্ছে! আদালতের আরও প্রশ্ন, গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা না করায় কোনও নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে কি? এর ফলে কোনও নাগরিকের জীবন যাপনে কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি? তাহলে এমন দাবি নিয়ে কেন মামলা করা হয়েছে?
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেন, গরুর সঙ্গে শুধু কিছু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িত। শুধু তাই নয়, এই পশুর অর্থনৈতিক গুরুত্বও অপরিসীম। তাঁদের বক্তব্য, এই সমস্ত গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা উচিত।
আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, ‘তাহলে এই দাবি নিয়ে আদালতে এসেছেন কেন? সরকারের কাছে যান। তারা ঠিক করুক গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা জরুরি কিনা।’

এই নিয়ে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির মধ্যে আদালত হুঁশিয়ারি দেয়, এমন মামলা করার জন্য জরিমানা করা হবে মামলাকারীদের। যদিও মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেই জরিমানা আর করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদীদের রাজনীতি শক্তিশালী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরুকে নিয়ে দেশজুড়ে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া সামনে এসেছে। একদিকে গোমাতার পূজা যেমন প্রায় জাতীয় উৎসবের পরিণত হওয়ার জোগাড়, অন্যদিকে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের গোমাংস খাওয়া নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি, কেনা, খাওয়া ইত্যাদির অভিযোগে বহু মানুষকে নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। অনেক মানুষ জেলও খাটছেন গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে।
শুধু বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলির কড়াকড়িই নয়, সাম্প্রতিক অতীতে সংসদে দলের সাংসদরাও গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার দাবি উত্থাপন করেছেন।
বাঁকুড়ার পোড়া পাহাড়ে রহস্য গুহাতেই কি বাস করতেন আদিম মানুষরা!