
তোমরা গুনতি করনি, তাই কেউ মারাও যায়নি, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ রাহুলের
পরিযায়ীদের সমস্যা নিয়ে এর আগেও টুইট করেছেন রাহুল। গত মে মাসে দিল্লিতে এক ফ্লাইওভারের ওপরে কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কটাক্ষ করে বলেন, "রাহুল ড্রামাবাজি করছেন।"
দ্য ওয়াল ব্যুরো : করোনা অতিমহামারী রুখতে গত ২৫ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউন জারি করা হয়। তার মধ্যে বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথেই মৃত্যু হয় অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের। সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার বলেন, লকডাউনের সময় যে পরিযায়ী শ্রমিকরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই। এরপরেই সরকারকে কটাক্ষ করে টুইট করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, সরকার যদি মৃতের সংখ্যা না জানে, তার মানে কি কেউ মারা যায়নি?
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন ছেলে রাহুল। বিদেশ থেকে তিনি এদিন হিন্দিতে টুইট করে বলেন, “মোদী সরকার জানে না, লকডাউনের সময় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন। কতজন চাকরি হারিয়েছেন, তাও সরকার জানে না।” এরপর সরকারের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “তোমরা যদি মৃতের সংখ্যা না জানো, তার মানে কি কেউ মরেনি?” তাঁর মতে, সবচেয়ে দুঃখের কথা হল, সরকার মানুষের প্রাণহানিতে কিছু মনে করে না। সারা বিশ্ব পরিযায়ীদের মরতে দেখেছে। কিন্তু সরকার কিছু জানে না।
পরিযায়ীদের সমস্যা নিয়ে এর আগেও টুইট করেছেন রাহুল। গত মে মাসে দিল্লিতে এক ফ্লাইওভারের ওপরে কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কটাক্ষ করে বলেন, “রাহুল ড্রামাবাজি করছেন।” পরে তিনি বলেন, “পরিযায়ীদের সঙ্গে বসে সময় নষ্ট না করে রাহুল বরং তাদের সুটকেস বহন করুন। তাদের সঙ্গে হাঁটুন। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি বাড়তি ট্রেনের জন্য আবেদন করুক। তাতে আরও বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি পৌঁছতে পারবেন।”
লকডাউনের পর এই প্রথমবার সংসদের অধিবেশন বসল। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক সংসদে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে কতজন মারা গিয়েছেন, সে ব্যাপারে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
সরকারের এহেন মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীরা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, “কেন্দ্রের এই উত্তর শুনে আমি স্তম্ভিত। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা অন্ধ হয়ে গিয়েছি। আর সরকারও এটাকে স্বাভাবিক ভেবে নিয়েছে। তাই যা ইচ্ছে তাই বলছে।”