
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ‘ওরিসাম নিউজ ফ্রম নাগাল্যান্ড’। (Worrisome news from Nagaland). নাগাল্যান্ড থেকে উদ্বেগজনক খবর এসেছে। রবিবার সকালে এমনই টুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জানা যায়, মায়ানমার সীমান্তে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সেনা বনাম গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ বাধে। ১৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। নিহত হন এক সেনা জওয়ানও। ওই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেনা-জনতা সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে মমতা এদিন টুইট করে বলেন, শোকার্ত পরিবারগুলিকে আন্তরিক সহানুভূতি জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। পরে মমতা লিখেছেন, ওই ঘটনা নিয়ে ভালভাবে তদন্ত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যেন ন্যায়বিচার পায়।
Worrisome news from #Nagaland.
Heartfelt condolences to the bereaved families. I pray for the speedy recovery of those who were injured.
We must ensure a thorough probe into the incident and ensure that all victims get justice!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 5, 2021
রবিবার ভোরে মায়ানমার সীমান্তে, নাগাল্যান্ডের মন জেলায় জঙ্গিদমন অভিযানে গিয়েছিল সেনাবাহিনী। তাদের কাছে খবর ছিল, সেখানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি জড়ো হয়েছে। তাদের আক্রমণের জন্য রাস্তায় ফাঁদ পাতে সেনাবাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ভুল করে নিরীহ গ্রামবাসীদের জঙ্গি ভেবেছিল। সেজন্য বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সেনা জওয়ানদের ঘেরাও করেন। সেনাবাহিনী ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি চালায়। তখনই ১৩ জন গ্রামবাসী নিহত হন। জনতা সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
সেনাবাহিনী থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে মন জেলার তিরু অঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছিল। তার পরে দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, মন জেলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এক সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে বলেন, “নাগাল্যান্ডের মন জেলায় যা ঘটেছে, তা গভীর উদ্বেগজনক। মৃতদের পরিবারের উদ্দেশে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজ্য সরকার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে ন্যায়বিচার পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।”
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিই রিও টুইট করে বলেন, মন জেলার ওটিং অঞ্চলে যা ঘটেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। আমি ওই ঘটনার নিন্দা করছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ন্যায়বিচার পান, সেজন্য উচ্চপর্যায়ের সিট গঠিত হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি।
মন অঞ্চল নাগা গোষ্ঠী এনএসসিএন (কে)-র শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। সেখানে অসমের উলফা জঙ্গিদেরও ঘাঁটি রয়েছে। আর কিছুদিন পরে নাগাল্যান্ডে শুরু হবে ‘হর্নবিল ফেস্টিভাল’। সেই উপলক্ষে কয়েকজন কূটনীতিকও বর্তমানে নাগাল্যান্ডে উপস্থিত হয়েছেন।