
মাথার টিউমার বাদ দিতে অপারেশন চলছে, হনুমান চালিশা আবৃত্তি করছেন রোগী!
ব্রেন সার্জারির সময় রোগীর সজ্ঞানে থাকাকে চিকিত্সা পরিভাষায় ‘অ্যাওয়েক ক্র্যানিটোমিস’ বলা হয়। এই ধরনের অপারেশনের সময় রোগীকে সজ্ঞানে রাখা হয় এটা সুনিশ্চিত করার জন্য যে, তাঁর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশের ক্ষতি হবে না। গত ২০ বছরে এইমসে নাকি এরকম অপারেশন অনেকবারই হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ৫০০ বারের বেশি এহেন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।
যুক্তির মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয় গত ২২ জুলাই নিউরোসার্জন ডঃ দীপক গুপ্তার নেতৃত্বে।
যুক্তির শিক্ষক হওয়ার বাসনা। এখন তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন।
In #AIIMS, a woman patient recite 40 verses of #Hanuman chalisa, while @drdeepakguptans and his neuro anaesthetic team conducts brain tumor surgery.#Delhi pic.twitter.com/MmKTJsKo95
— Arvind Chauhan (@Arv_Ind_Chauhan) July 23, 2021
@drdeepakguptans post surgery sharing details of the operation pic.twitter.com/HjzuDnNjVQ
— Arvind Chauhan (@Arv_Ind_Chauhan) July 23, 2021
অপারেশন রুমে অস্ত্রোপচার চলাকালে নিজের ধর্মবিশ্বাসে ভরসার প্রতিফলন স্বরূপ হনুমান চালিশার ৪০টি স্তোত্রই গড়গড় করে বলে যান যুক্তি। সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কেউ। আরেকটি ভিডিওতে ডঃ গুপ্তা অপারেশনের বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করে কেন সাধারণতঃ এমন জটিল অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে জাগিয়ে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনিই জানান, রোগীর লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করা হয় স্ক্যাল্প ব্লক, পেইনকিলার মেডিসিনের জন্য।
তবে এমনই একটি ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল গত বছর। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে মস্তিষ্কের টিউমার বাদ দেওয়ার অপারেশন চলাকালে ভায়োলিন বাজান ৫৩ বছরের মহিলা রোগী। ডাগমার টার্নার নামে মহিলাকে ডাক্তাররাই ভায়োলিন বাজাতে বলেছিলেন, যাতে হাতের সঞ্চালন ও সমন্বয় চালায় মস্তিষ্কের যে অংশগুলি, তার ক্ষতি না হয় অপারেশনের মধ্যে। ২০১৮য় অপারেশন বেডেই ব্রেন
টিউমার সার্জারির মধ্যে জাজ পারফরম্যান্স করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক সঙ্গীত শিল্পী। তাঁর অপারেশন পর্ব চলেছিল ৬ ঘন্টা। মস্তিকের পক্ষাঘাত বা ক্ষতি এড়াতে তাঁকে জাগিয়ে রেখেছিলেন ডাক্তাররা।