
সরকার-ট্যুইটার বিরোধের আবহে আচমকা ইস্তফা মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের অন্তর্বর্তী আবাসিক গ্রিভ্যান্স অফিসারের
নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ওই পদে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, নালিশের নিষ্পত্তির জন্য একজনকে থাকতেই হবে। চতুরের ইস্তফায় আপাততঃ পদটি শূন্য। কেন তিনি সরে গেলেন, তার কারণ জানা যায়নি। ট্যুইটারের ওয়েবসাইটে আর তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে না, যা তথ্য প্রযুক্তি (অন্তর্বর্তী গাইডলাইন ও ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড) রুলস, ২০২১ অনুসারে দেখানো আবশ্যিক।
ট্যুইটার গোটা ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
দেশের নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২৫ মে কার্যকর হয়। তাতে বলা আছে, সোস্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে একটি অভিযোগ মীমাংসা সমাধানের মেকানিজম তৈরি করতে হবে যাতে ব্যবহারকারীদের বা কটাক্ষ, বিদ্রুপ, ট্রোলিংয়ের অভিযোগকারীদের ক্ষোভ, অনুযোগের মীমাংসা করা যায়। সরকার ট্যুইটারের নিন্দা করে বলেছে, তারা দেশের নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ইচ্ছে করে মানছে না।
নয়া আইনের বিধি হল, ৫০ লাখের বেশি ইউজার বেস থাকা সব সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে ইউজারদের অভিযোগের মীমাংসায় গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করে তাদের নাম, যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করতে হবে। বড় সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে একজন মুখ্য কমপ্লায়েন্স অফিসার, একজন নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন ও একজন রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। এঁরা অবশ্যই হবেন ভারতের বাসিন্দা।
গত ৫ জুন সরকারের তরফে পাঠানো চূড়ান্ত নোটিশের উত্তরে ট্যুইটার জানিয়েছিল, তারা নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি মেনে চলতে চায়, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারের যাবতীয় তথ্যও শেয়ার করবে। তার মধ্যেই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি চতুরকে ভারতের অন্তর্বর্তী রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার পদে নিয়োগ করে।
সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ট্যুইটার ইন্টারমিডিয়ারি হিসাবে আইনি রক্ষাকবচ হারিয়েছে, তাদের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা যাবতীয় কনটেন্টের জন্য দায়ী থাকবে তারাই।