
বছর দেড়েক পরেই ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা ভোট। তার আগে একুশের শেষে ২০টি পুরসভা ও নগরপঞ্চায়েতের ভোটকে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছিল রাজনৈতিক মহল। দেখা গেল সেই খেলায় অনেক জায়গায় ওয়াক ওভার পেয়ে গেল বিজেপি। সাতটা পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিল গেরুয়া শিবির।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। গতকাল ৩ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাতে দেখা গেল শান্তিরবাজার, উদয়পুর, বিশালগড়, মোহনপুর, কমলপুর, জিরানিয়া ও রানির বাজার পুরসভায় ভোট করতে হবে না। এমনিই এগুলি জিতে নিয়েছে বিজেপি। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস প্রায় এক সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে বল্গাহীন সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে।
গতকালই আগরতলা কর্পোরেশনের ৫১টি আসনের মধ্যে ৫১টিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। যাকে প্রাথমিক জয় হিসেবেই দেখাতে চাইছে বাংলার শাসকদল। কিন্তু এদিন দেখা গেল, রাজধানী শহরে সব আসনে প্রার্থী পেলেও ত্রিপুরার জেলায়, মহকুমায় প্রার্থী দাঁড় করাতে পারল না তৃণমূল।
ত্রিপুরার ২০টি পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতের মোট আসন ৩৩৪টি। তার মধ্যে তৃণমূল ১২৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে ২২৭টি আসনে। অর্থাৎ সিপিএম-ও শতাধিক আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। কংগ্রেস ১০১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের বক্তব্য, তেইশ সালের ভোটকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় পা রেখেছে তৃণমূল। ডিসেম্বরে সেখানে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগে পুর ভোটে কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিল বিপ্লব দেবের বিজেপি।