
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নদী বাঁধের অনিয়মেই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এল অন্ধ্রপ্রদেশে। বাঁধ ছাপিয়ে চেইরু নদীর জল ভাসিয়ে (Flood) নিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। অন্ধ্রের কারাপ্পা জেলায় হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জলের স্রোতে ভেসে নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন।
বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপের জেরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে অন্ধ্রে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলে আগামী কয়েকদিন অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তিরুমালায়। মন্দির সংলগ্ন এলাকা জলে ভেসে গেছে। সড়কপথ জলমগ্ন। জলের তোড়ে গাছপালা উপড়েছে, বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত।
স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, কার্তি পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে চেইরু নদীর তীরে নন্দালুরুর শিব মন্দিরে ভিড় করেছিলেন দর্শনার্থীরা। আচমকাই প্রবল জলের স্রোতে ভেসে যান অনেকে। তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি বলেছেন, নদী বাঁধে নির্মাণগত কিছু ত্রুটির কারণে জল উপচে বাইরে চলে আসে। প্রবল জলের স্রোতে ভেসে যায় কিছু বাড়িঘর, দোকানপাট।
গোটা নভেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টির বিরাম নেই তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ একাধিক জেলায়। একই অবস্থা পুদুচেরীতেও। পাঁচশোরও বেশি বাড়িঘর ভেঙে গেছে। শহরের নীচু এলাকা জলমগ্ন।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রে ভোগান্তির শেষ এখনই নয়। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের শক্তি বাড়ছে, ফলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা এখনই কমছে না। তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশে আরও কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তামিলনাড়ুর চেন্নাই, চেঙ্গলপাট্টু, ভিলপ্পুরম, কাঞ্চিপুরম-সহ ছয় জেলায় আগেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। বাঁধের জল ছাড়ার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা ঘটল কারাপ্পায়।