
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের খবরের শিরোনামে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এবার তাঁর একটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেছেন, শুক্রবার থেকে আগামী সাত দিনে পুলিশ রাজ্যে এক হাজার লোককে গ্রেফতার করবে। কেন এমন কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অভিযুক্তরা অর্থাৎ পুলিশ যাদের গ্রেফতার করবে তারা ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ে করেছেন। বিয়ের বয়সের আইনি বিধান লঙ্ঘন করায় গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তদের। ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ে করেছে যারা তাদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী শিশুর উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন বা পকসোর ধারায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ধারায় মামলা হলে জামিনও মিলবে না।
পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের নাক গলানো একেবারেই পছন্দ নয়, বলল ভারত
হঠাৎ করে পুলিশকে গ্রেফতার অভিযানে নামার নির্দেশ কেন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? আসলে ক’দিন ধরে হিমন্ত রাজ্যে বাল্য বিবাহ বন্ধের ব্যাপারে সরব হন। তিনি বলেছেন, অসমে এই সমস্যা তীব্র আকার নিয়েছে। কম বয়সে বিয়ে হওয়া মেয়ে অসময়ে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। শিশুকেও বাঁচানো যাচ্ছে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। ফলে জন্মকালে শিশু মৃত্যুর হারে লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না কিছুতে।
গত সপ্তাহেই অসমের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত করেছে নাবালিকাকে বিয়ে করা পুরুষদের বিরুদ্ধে সরকার পকসো আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করবে। সরকারি সূত্রের খবর, অসম পুলিশ এক হাজারের বেশি পুরুষকে চিহ্নিত করেছে যাদের বিরুদ্ধে ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েকে বিয়ের অভিযোগ আছে।
প্রশ্ন উঠেছে, পাত্র ও পাত্রীর বাবা-মায়েদের বিরুদ্ধে পুলিশ কি কোনও আইনি ব্যবস্থা নেবে। না নিলে আদালতে পুলিশকে প্রশ্নের মুখে পডতে হবে। সরকারি কর্তারা এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন।
কেউ কেউ সামাজিক সমস্যার দিকটিও তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, নাবালিকা বিয়ে আটকানো, পাত্রকে গ্রেফতার এক জিনিস। বিবাহিত কাউকে এখন গ্রেফতার করলে অভিযুক্তের স্ত্রী, সন্তানের কী হবে। অসম সরকারের কাছ থেকে এই প্রশ্নেরও জবাব মেলেনি।