
প্রেমিকাকে ১০ বছর নিজের ঘরে লুকিয়ে রাখল প্রেমিক, বাড়ির কেউ জানলই না! কীভাবে, পড়ুন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাড়ি থেকে পালিয়ে ১০ বছর ধরে প্রেমিকের বাড়িতে তারই ঘরে কাটিয়েছে মেয়েটি, কিন্তু সেই পরিবারের কেউ টেরই পায়নি! অবিশ্বাস্য মনে হলেও কেরলের চমকে দেওয়া ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রেমিকার অস্তিত্ব পরিবারের সদস্যদের বুঝতেই দেয়নি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান প্রেমিক!
ঘটনার শুরু ২০১০ এর ফেব্রুয়ারি। সাজিথা নামে তখন ১৮ বছরের মেয়েটি একদিন পাল্লাকাড় জেলার আইলুর গ্রামের বাড়ি থেকে কাছেই আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছে বলে বেরয়। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। সাজিথার পরিবারের লোকজন থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। শুরুতে কিছু তদন্ত, অনুসন্ধান হয়। কিন্তু তাতে কোনও অগ্রগতিই হয়নি। সাজিথার পরিবার, গ্রামবাসীরাও ধরে নেয়, সে মারা গিয়েছে। কিন্তু এতগুলি বছর কেটে যাওয়ার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে সাজিথার পরিবার হতবাক হয়ে জানতে পারে, সে জীবিত, তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই একটি বাড়িতে ছিল।
জানা যায়, যেদিন বাড়ি থেকে বেরয়, সেদিনই প্রেমিক রহমানের বাড়ি গিয়ে ওঠে সাজিথা। রহমানের ঘরটাই হয় তার দুনিয়া। রহমান তখন ২৪। সেই গ্রামেরই ছেলে।
রহমান তাহলে কী করে সাজিথাকে নিজের ঘরে এতদিন রেখে দিল, তার পরিবারের কেউ জানতেই পারল না, বাড়িতে এক ছাদের তলায় একটা মেয়ে থাকছে? রহমানের ঘর বাড়ির বাকিদের জন্য সবসময় বন্ধই থাকত। সে কারসাজি করে ঘরে একটা অটোমেটিক লক লাগিয়েছিল। এমনকী ঘরের দরজার বাইরে বেশ কিছু ইলেকট্রিকের তারও ঝুলিয়ে রেখেছিল। পরিবারের কেউ কাছে গিয়ে বেশ কয়েকবার শক খেয়েছেন। রহমান পরিবারের লোকজনের সামনে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। তারা ভাবতে থাকে, ওর কোনও মানসিক সমস্যা হচ্ছে। তার খাদ্যাভ্যাস আচমকা বদলে যায়। সে বেশি খাবার নিতে শুরু করে। কখনও পরিবারের বাকিদের সামনে সে খেত না, নিজের ঘরে নিয়ে যেত। সাজিথা সারাদিন ঘরবন্দি থাকত, শুধু রাতে টয়লেটে যেতে বাইরে বেরত।
এর মধ্যে আচমকা তিন মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রহমান। মঙ্গলবার কাছের এক শহরে তাকে বাইক চেপে যেতে দেখে তার ভাই বসির। রহমানকে থামানোর চেষ্টা করে বসির। সে ট্রাক চালাচ্ছিল। কিন্তু জোরে বাইক চালিয়ে চম্পট দেয় রহমান। বসির পুলিশের সাহায্য চায়। পুলিশ তাকে থামায়। তখন সে ভাইকে জানায়, কাছের এক গ্রামে ভাড়াবাড়িতে একটি মেয়েকে নিয়ে আছে সে। বাকিটা……….
পুলিশ আদালতে পেশ করলে রহমান, সাজিথা জানায়, তারা একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিল, কিন্তু দুই পরিবার কখনও মানবে না, এই ভয়েই এত লুকোচুরি!