
দেশে এই প্রথম, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে ড্রোন ব্যবহার করবে তেলঙ্গানা
ওই এয়ারস্পেস থেকে দুই-তিন কিলোগ্রাম ওজনের ডেলিভারি বক্স নিয়ে উড়বে ‘বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল লাইন অব সাইট’ ড্রোন। আধ ঘণ্টার মধ্যে ড্রোনগুলি ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে পারবে। তেলঙ্গানা সরকারের ওই প্রকল্পে অনুমতি দিয়েছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইট করে বলেছেন, “এই প্রচেষ্টা ব্যতিক্রমী। ২০২১ সালে ড্রোন বিধি সহজ করা হয়েছে। এখন আরও নানা কাজে ড্রোন ব্যবহার করা যাবে।”
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ ৯৬.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুকে ঠেকিয়ে দিতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে মৃত্যুর আশঙ্কা ৯৭.৫ শতাংশ হ্রাস পায়। কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল এদিন জানান, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল ভ্যাকসিন নেওয়া। গত এপ্রিল-মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের সময় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই ভ্যাকসিন নেননি।
ভি কে পাল বলেন, “এখন সহজেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সকলেই ভ্যাকসিন নিন। তাহলে কোভিডে মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবেন।” সরকার স্বীকার করেছে, ‘ব্রেকথ্রু ইনফেকশান’ হচ্ছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও কেউ কেউ সংক্রমিত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের মৃত্যু ঘটছে না। তাঁদের খুব কম সংখ্যককেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
এর মধ্যে জানা যায়, জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন চলে আসছে আগামী মাসের মধ্যেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদনে জনসনের সিঙ্গল শট ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই টিকা তৈরি করেছে দেশের প্রথম সারির ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই।
রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের পরে আরও এক বিদেশি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেল ভারতে। জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের তৈরি সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন ভারতে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তাব পেশ করেছিল আগেই। জনসনের সিঙ্গল ডোজের ক্লিনিকাল ট্রায়ালও চলছিল দেশে। সূত্রের খবর, সেই ট্রায়ালের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জনসনের ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল।