
গত বছর করোনার কারণে সর্বভারতীয় দুই বোর্ডের পরীক্ষাই অনলাইনে হয়েছিল। এ বছরও যাতে পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া যায় তার আবেদন জমা পড়েছিল। মামলাকারীদের আর্জি ছিল, করোনা পরিস্থিতি এখনও সবটা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা হলে যাবেন তাঁদের বয়সও ১৮ বছরের নীচে। কাজেই টিকাকরণ হয়নি। তাই এখন সশরীরে পরীক্ষা হলে যাওয়া নিরাপদ নয়। লাখ লাখ পরীক্ষার্থী আসবেন। কারও কোমর্বিডিটি থাকলে ভয়ের কারণও রয়েছে।
কিন্তু সিবিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়, এ বছর অফলাইনেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। কাজেই এত অল্প সময়ে ফের গোটা প্রক্রিয়াটা বদলে দিলে সমস্যা তৈরি হবে। এরপরে মামলাকারীরা আবেদন করে, তাহলে পরীক্ষা দুভাবেই নেওয়া হোক। যাদের সুবিধা হবে তাঁরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবেন, আর যাঁদের অসুবিধা আছে তাঁরা অনলাইনে পরীক্ষা দেবেন। এই মর্মে আর্জি জানিয়ে রিট পিটিশন দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
‘ত্বকের স্পর্শ না হলে যৌন নিগ্রহ নয়’ পকসো আইন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে রায় খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
আজ মামলার শুনানি চলার সময়, বিচারপতি এএম খানউইলকার ও বিচারপতি সিটি রবিকুমার রিট পিটিশন খারিজ করে মামলাকারীদের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়েকে বলেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। পরীক্ষা ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গেছে। এখন আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।
সিবিএসই বোর্ডের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, করোনা বিধি মেনেই পরীক্ষা হচ্ছে। গত বছরের থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হয়েছে। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে পরীক্ষার্থীদের বসানো হচ্ছে। পরীক্ষার সময়ও কমিয়ে ৩ ঘণ্টা ৯০ মিনিট করা হয়েছে। এ বছরে পাঠ্যক্রমের মাত্র ৫০ শতাংশ রাখা হয়েছে। কাজেই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে করোনার সমস্ত বিধি মেনেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। পরীক্ষা হলগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন গোটা ব্যবস্থা বদলে দিলে পরীক্ষার্থীরাই সমস্যায় পড়বেন।