
‘ভারত যা করেছে, আর কোনও দেশ পারেনি’, কেন্দ্রের কোভিড ১৯ মোকাবিলার প্রশংসা সুপ্রিম কোর্টের
কোভিড ১৯ সংক্রমণে মৃতদের পরিবারের জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য চেয়ে পেশ হওয়া জনস্বার্থমূলক পিটিশনের ওপর রায়দান বৃহস্পতিবার স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি শাহ বলেন, আজ আমরা খুব খুশি। যাদের ক্ষতি হয়েছে, তারা কিছুটা মানসিক শান্তি পাবে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের চোখের জল মোছাতে কিছু একটা করা হচ্ছে, দেখে আমরা খুশি। আমাদের বিচার বিভাগকে এটা স্বীকার করতে হবে যে, ভারত যা করেছে, দুনিয়ার আর কোনও দেশই পারেনি। এত বিপুল জনসংখ্যা, তা সত্ত্বেও দেশ হিসাবে আমরা এতটাই ভাল করেছি যা ব্যতিক্রম। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তখন বলেন, ভারত একটা দেশ হিসাবে সত্যিই দারুণ সাড়া দিয়েছে।
গতকালই কেন্দ্র ঘোষণা করে, করোনাভাইরাসে মৃতদের পরিবারগুলিকে ৫০ হাজার টাকা এককালীন সহায়তা দেওয়া হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয় ভারত। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, বেড, মেডিকেল অক্সিজেনের মতো জরুরি পরিকাঠামোর ঘাটতির ফলে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুতে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির, আমজনতার একাংশেরও সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী সরকার। কিন্তু আজ বিচারপতিরা বলেন, আমাদের দেশের আয়তন, বিপুল জনসংখ্যা, ভ্যাকসিনের খরচ, আর্থিক পরিস্থিতি ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করেছি। আর কোনও দেশ ভারতের মতো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে বলে, পরীক্ষায় কোভিড ১৯ পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের পরিবারও এককালীন আর্থিক সাহায্য পাবে।
লাইভ ল জানাচ্ছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শাহ ও বিচারপতি এএস বোপান্না আত্মহত্যা সহ কোভিড ১৯-এ মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে চালু গাইডলাইন ফের খতিয়ে দেখতে বলেন কেন্দ্রকে। শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র আরও বলে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ কোভিড ১৯ এ মৃতদের আত্মীয়দের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে যা, রাজ্যগুলি এসডিআরএফ তহবিল থেকে দেবে।
যদিও কংগ্রেস কেন্দ্রের এককালীন সাহায্যের অঙ্ককে যত্সামান্য আখ্যা দিয়ে বলেছে, ৫ লাখ টাকা দেওয়া উচিত।
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাটে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণকে বিপর্যয় বলে ঘোষণা করা হচ্ছে না কেননা তাহলে আইন অনুযায়ী মৃত্যুর জন্য ৪ লাখ টাকা দিতে হবে।
.