
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পার্লামেন্ট তথা সংসদ ভবনের ক্যান্টিনের মেনু নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। জনগণের করের টাকায় কেন সস্তায় সংসদের ক্যান্টিনে খাবার পাওয়া যাবে সেই বিতর্কও অতি পুরনো। তবে সে সব পিছনে ফেলে সংসদের ক্যান্টিন এখন অনেক দূর এগিয়েছে। নর্দান রেলওয়ের পরিবর্তে এখন ক্যান্টিনের খাবার তৈরি ও পরিবেশনের দায়িত্ব পেয়েছে আইটিডিসি তথা ভারতীয় পর্যটন উন্নয়ন নিগম। এহেন সংসদের ক্যান্টিনে এ বার মেনুতে এলো নতুন আইটেম। কিনোয়া (Quinoa) স্যালাড। সাংসদ তথা সংসদ ভবনের কর্মী, সাংবাদিকদের কথা মাথায় রেখে হেলদি ফুড ঢুকল খাবারের তালিকায়।
কিনোয়া (Quinoa) কী? কেন তা এত স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়?
কিনোয়া (Quinoa) স্যালাড বেশ সুস্বাদু। ভেজানো কিনোয়ার সঙ্গে শশা, পেঁয়াজ, টমেটো কুচি, বেল পেপার, ধনে পাতা কুচিয়ে এই স্যালাড তৈরি করা যায়। অনেকটা হার্বড লেবানিজ স্যালাডের মতই দাঁড়ায় ব্যাপারটা।

সংসদের মেনুতে নতুন আইটেম যোগ করার ধারাও বহুদিনের। কেন্দ্রে মনমোহন সিংহ জমানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী হয়েছিল, তখন ক্যান্টিনে রুই মাছের কালিয়া চালু করেছিলেন তিনি। হাওড়া স্টেশনের ক্যান্টিনে সেই সময়ে এক রাঁধুনি ছিলেন। তাঁর নাম বেনুধর প্রধান। মমতা বেনুধরকে নিয়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সংসদের ক্যান্টিনে মাছ রান্নার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। সপ্তাহে দু’দিন মেনুতে মাছ থাকত। কখনও সর্ষে দিয়ে কখনও বা পেঁয়াজ-আদা দিয়ে রুই মাছ রান্না করতেন বেনুধর। এ ছাড়া সাংসদ বা মন্ত্রীদের জন্য অনেক সময়ে বেনুধর চিকেন স্ট্যু রান্না করে দিতেন।
রামপুরহাটে মৃত্যু কত? দমকল-ডিজির হিসেব মিলছে না
মনমোহন জমানার পর সংসদে মাছের পাঠ চুকেছে। তা ছাড়া আগে যে রকম ভরতুকি মূল্যে খাবার পাওয়া যেত এখন তা আর পাওয়া যায় না। তবু বাজারের তুলনায় দাম সস্তা। যেমন সংসদের ক্যান্টিনে এখন এক প্লেট চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায় ১০০ টাকায়। নন ভেজ ফুল কোর্স বুফের জন্য মাথা পিছু খরচ পড়ে ৭০০ টাকা। কড়াই পনির পাওয়া যায় ৬০ টাকায়, খিচুরি পাওয়া যায় ৫০ টাকায়, পুরি ভাজি ৫০ টাকায় আর একেকটা রুটির দাম হল ৩ টাকা। ১০০ টাকায় পাওয়া যায় থালি। তাতে থাকে পিজ পোলাও, ডাল সুলতানি, কড়াই পনির, মিক্সড সব্জি, ভাজি, স্যালাড ও রায়তা। এ ছাড়া ৫০ টাকায় মিনি থালায় পাওয়া যায়।