
এ ধরনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী সাধারণতঃ যে ভাষায়, ঢঙে শোক প্রকাশ করেন, সমবেদনা জানান, আজও তারই প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু এত বড় হামলার দায় (responsibility) কার, সেই প্রশ্ন উঠবেই এবং সেটা তুলেছেন রাহুল গাঁধী (rahul gandhi)। সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেও দেশে ক্ষমতাসীন সরকার যে দায়িত্ব এড়াতে পারে না, তা মনে করিয়ে দিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে (pm)। ঘটনাচক্রে ২০২২ এ যে ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হচ্ছে, তাদের মধ্যে আছে মণিপুর। সদ্য বেরনো জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, এবার কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে জিততে হবে বিজেপিকে। সেই প্রেক্ষাপটেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুলের ট্যুইট, সেনার কনভয়ে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে ফের প্রমাণ হল, দেশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মোদী সরকার। দেশরক্ষার ক্ষমতা নেই তাদের। সব শহিদ ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা, শোক জানালাম। আপনাদের আত্মত্যাগ মনে রাখবে দেশ।
দেশের অর্থনীতি, মূল্যবৃদ্ধি, করোনাভাইরাস, ভ্যাকসিনের ডোজ সহ একাধিক ইস্যুতে রাহুলের নিশানায় রয়েছেন মোদী। গালোয়ান সহ ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়েও রাহুল লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকারকে। সেই তালিকায় এবার ঢুকল মণিপুরের জঙ্গি হামলা।
মণিপুরে ৪৬ অসম রাইফেলসের কনভয়ে জঙ্গি হামলাকে ঘৃণ্য বলে কঠোর নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেনা অফিসার, তাঁর পরিবারের সদস্য, সাহসী জওয়ানদের আমরা হারিয়েছি, একথা জেনে আমি বেদনাহত, শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলিকে আমার শোক জানাচ্ছি, গোটা দেশ এর বিচার চায়, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এজন্য রাহুলের মতো মোদীকে আক্রমণ করে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি মমতা। নানা ইস্যুতে মোদীকে নিয়মিত নিশানা করেন মমতা। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তরপূর্বের এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যাপারে তিনি স্রেফ শোক, সমবেদনা প্রকাশই করলেন, মোদীকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন না, যেখানে মণিপুরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।