
গত মাসেই বড়সড় পাক মডিউলের পর্দা ফাঁস করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে অভিযান চালিয়ে ছ’জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)।দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানাচ্ছে, গণেশ চতুর্থীর দিনেই দেশে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ছিল এই ছ’জনের। সেই ছক বানচাল হয়ে যায়। কিছুদিন আগেই দিল্লির রমেশ পার্ক ও লক্ষ্মী নগর এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করা হয়েছিল। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে তাদের থেকে। জেরা করে জানা গেছে, ধৃতেদর জন্ম পাকিস্তানে। ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে দিল্লিতে বসবাস করছিল এতদিন।
দুর্গাপুজোর সময় জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন সতর্কতা জারি হয়েছিল আগেই। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছিল, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে জঙ্গিদের স্লিপার সেলরা। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।
গোয়েন্দা অফিসাররা বলছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তানে গিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়। বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্র চালনা, ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি)-র ট্রেনিংও দেওয়া হয় তাদের। আত্মঘাতী জঙ্গি বা ফিদাঁয়ে তৈরির প্রশিক্ষণও চলে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সম্প্রতি কাশ্মীরের নিরীহ বাসিন্দাদের টার্গেট করছে জঙ্গিরা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের খুন করা হচ্ছে। সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি ভাঙার পাশাপাশি উপত্যকার গ্রামগুলিতে নাশকতা জিইয়ে রাখার প্রচেষ্টা চলছে।
জুলাই মাসেই লখনৌ থেকে দুই আল কায়দা জঙ্গি ও তাদের এক শাগরেদকে ধরে পুলিশ। লখনৌ, কাশী, মথুরা, অযোধ্যায় হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। মথুরা ও কাশীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রও ছিল বলে অনুমান। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রেসার কুকার বোম সহ প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।