
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে চিন, পাকিস্তান ও রাশিয়াকেও আমন্ত্রণ জানাবে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
আফগানিস্তানে তালিবানি কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি। এর রেশ ভারতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একেই ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে গোলাগুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উপদেষ্টা স্তরের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই কাশ্মীরে সন্ত্রাস নিয়ে সতর্ক ভারত। আমেরিকান সেনা কাবুল ছাড়ার দিনই কাতারে মুখোমুখি হন ভারত ও তালিবান নেতৃত্ব। রাজধানী দোহায় ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানের দোহা দফতরের ভারপ্রাপ্ত নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। বৈঠকে ভারতের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেয় তালিবান।
আমেরিকান সেনা কাবুল ছাড়ার দিনই কাতারে মুখোমুখি বৈঠকে ভারত ও তালিবান নেতৃত্ব। খবর, কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানের দোহা দফতরের ভারপ্রাপ্ত নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। বৈঠকে ভারতের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস তালিবানের।
কাতারের দোহায় রাজনৈতিক দফতর খুলেছে তালিবান। সেই দফতরের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, আমেরিকান সেনার আফগানিস্তান ত্যাগের অব্যবহিত পরেই মুখোমুখি বৈঠকে ভারত ও তালিবান নেতৃত্ব।
ভারতের প্রতি তালিবান-বার্তার পরই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা শোনা গেল। এই বৈঠকে আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের পাশাপাশি ভারতে আসতে ইচ্ছুক সে দেশের নাগরিক, বিশেষত সংখ্যালঘুদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল তালিবান নেতাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের মাটি যেন ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া না হয়। তালিবান নেতা স্তানেকজাই দীপক মিত্তলকে জানিয়েছেন, গুরুত্ব দিয়ে বিষয়গুলি বিবেচনা করা হবে।
আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী বুধবার মস্কোয় বিশেষ বৈঠক ডেকেছে রাশিয়া। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা তালিবান প্রতিনিধিদের। এর আগেও তালিবানের সঙ্গে আফগানিস্তান সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছিল রাশিয়া। তবে সেই বৈঠকে পাকিস্তান, আমেরিকা উপস্থিত থাকলেও ভারতের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না।
পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রত্যক্ষ ভাবে আফগান তালিবানকে সাহায্য করছে বলে খবর সামনে এসেছে। পাকিস্তানের শাসকদলের এক নেত্রীই দাবি করেছিলেন আফগানিস্তান দখলে তালিবানকে সাহায্য করেছে ইসলামাবাদ। বিনিময়ে কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে তালিবান। আফগানিস্তানে জঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ একটি রিপোর্ট দিয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, পাক জঙ্গি সংগঠন ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)-র প্রায় ছ’হাজার জঙ্গি এখন সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। তাছাড়া, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আরও হাজার চারেক জঙ্গি রয়েছে আফগানিস্তানে।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে ভারতের কাশ্মীরে নাশকতার ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাশ্মীরি যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি দলে ঢোকানোর চেষ্টাও হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।