
আগামী ৮-১০ বছরে জিএসটির আওতায় নয় পেট্রল, ডিজেল, কী ব্যাখ্যা দিলেন সুশীল মোদী?
গত এক বছরের ওপর পেট্রলের মূল্য বেড়েই চলেছে। কয়েকটি রাজ্যে তা লিটার পিছু ১০০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছে! যদিও বুধবারই প্রথম লিটারে ১৮ পয়সা কমেছে পেট্রলের দাম, ডিজেল লিটারে ১৭ পয়সা কমেছে। ফেব্রুয়ারির গোড়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এই সবচেয়ে কমেছে। সারা দেশেই দুটি পেট্রপণ্যের দাম কমেছে, যদিও স্থানীয় করের অর্থাত্ ভ্যাটের তারতম্যের ফলে একেক রাজ্য দামে অল্পবিস্তর ফারাক হয়। শেষ দাম কমেছিল ২০২০-র ১৬ মার্চ। এক বছরের বেশি সময় আজই প্রথম দাম কমল। মোদী ব্যাখ্যা করেন, রাজ্যগুলি বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড়তে রাজি হবে না। তাই পেট্রল, ডিজেল জিএসটির আওতায় পরের ৮-১০ বছরে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। জিএসটির অধীনে আনা হলে কী করে ২ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া যাবে? তিনি আরও জানান, পেট্রপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা হলে তা থেকে ২৮ শতাংশ কর সংগ্রহ হতে পারে, কেননা ওটাই এই ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ধাপ। বর্তমানে পেট্রপণ্য থেকে ৬০ শতাংশ কর সংগ্রহ হয়। কিন্তু জিএসটি চালু হলে কেন্দ্র, রাজ্যগুলির ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহে ঘাটতি হবে। পেট্রপণ্যের ওপর ২৮শতাংশ কর সংগ্রহ হলে লিটারে এখনকার ৬০ টাকার পরিবর্তে আসবে মাত্র ১৪ টাকা। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, পেট্রল বা ডিজেলের দাম লিটারে ১০০ টাকা হলে তার মধ্যে কর হল ৬০ যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রের ৩৫ টাকা, রাজ্যগুলির ২৫ টাকা। লিটারে ৩৫ টাকার কর বাদেও রাজ্যগুলির ঘরে যায় ৪২ শতাংশ। পেট্রল, ডিজেলের ওপর সংগৃহীত কর সরকারের পকেটে যায়। সরকারের আলাদা কোনও পকেট নেই। তাহলে সব বাড়িতে বিদ্যুত্ ও জল সরবরাহের পয়সা আসবে কোথা থেকে! দেশের মঙ্গলে কর বাবদ পাওয়া ব্যয়ের ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। জিএসটি বিরোধী মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু লোক একে গব্বর সিং ট্যাক্স বলেন। কোনও রাজ্যই কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জিএসটি কর কাঠামোর বিরোধিতা করেনি।
দেশে একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারেরই জিএসটি ব্যবস্থা চালু করার সাহস আছে বলেও দাবি করেন তিনি।