
দেশব্যাপী এনআরসি-র সিদ্ধান্ত হয়নি, সংসদে জানাল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, অসমে এনআরসি আপডেট করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। ২০১৯ এর ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, অসমে মোট ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১৯.০৬ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে। যা নিয়ে দেশব্যাপী প্রবল আলোড়ন ছড়ায়।
এখনও পর্যন্ত এনআরসি অসম-কেন্দ্রিক বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের তালিকা বলা যায়।
আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে রাই বলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ভারতীয় নাগরিকদের ন্যাশনাল রেজিস্টারে ডিটেনশন সেন্টারের কোনও বিধি নেই। ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিদেশি নাগরিকদের সাজার মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে জেল থেকে ছেড়ে দিতে হবে, তবে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত যথাযথ স্থানে রাখতে হবে, তাদের গতিবিধি হবে সীমিত। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করতে বলে।
মন্ত্রী জানান, বেআইনি অভিবাসী ও বিদেশিদের আটক করার স্থানীয় চাহিদা অনুসারেই রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করে। ওই বিদেশিদের কেউ কেউ হয়তো সাজা সম্পূর্ণ করেছেন, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সঠিক ট্রাভেল ডকুমেন্টের অভাবে থমকে রয়েছে।