
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত পড়ুয়াকে কলেজে ভর্তি নয়, মধ্যপ্রদেশের নয়া বিধি, নিন্দায় এবিভিপিও
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষুব্ধ বাম ছাত্ররা বলেছে, নতুন নিয়মবিধিকে আদর্শগত কারণে বা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হতে পারে। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক অজয় তেওয়ারি বলেছেন, প্রথমে ওরা কলেজে সরাসরি ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিষিদ্ধ করল, এবার নতুন বিধি আনার উদ্দেশ্য সরকার বিরোধী প্রতিবাদে যোগদান থেকে পড়ুয়াদের বিরত রাখা। সম্প্রতি রাজ্যের ছাত্ররা মুদ্রাস্ফীতি, তিনটি কৃষি আইন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। বেশ কিছু পড়ুয়াকে দাঙ্গা বাঁধানোয় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার অর্থ, এই পড়ুয়ারা প্রতিবাদ, বিরুদ্ধ মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করায় সংবিধানে সুরক্ষিত শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে! কলেজ থেকে ছাত্র নেতাদের উত্থান নয়া নিয়মবিধির ফলে বন্ধ হয়ে যাবে বলে অভিমত জানিয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। এমনকী সংঘ পরিবারের অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি পর্যন্ত নয়া নিয়মবিধিকে বিচিত্র আখ্যা দিয়ে বলেছে, এগুলি মানা যায় না। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক প্রবীণ শর্মার মত, এতে ছাত্র রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে, এটা শিক্ষার অধিকারেরও পরিপন্থী। অভিযুক্তকে নির্দোষ প্রমাণ করে ভবিষ্যতে সুন্দর জীবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে নয়া নিয়মবিধি। আদালত রায় জানানোর আগে কী করে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি পড়ুয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে, প্রশ্ন করেন তিনি।