
মমতা বলেছিলেন, এরা এতটাই অমানবিক। দানবীয় কায়দায় ত্রিপুরায় সরকার চালাচ্ছে।
মমতার ওই দাবি নিয়ে শোরগোল পড়তেই এদিন ত্রিপুরা বিজেপির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। ডাহা মিথ্যে। শুধু ত্রিপুরা বিজেপি কেন, বিপ্লব দেবের সচিবালয়ের আধিকারিকরাও সেই ভিডিও ফুটেজ হোয়টসঅ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
কী আছে ভিডিওতে?
দেখা যাচ্ছে, থানার মধ্যে মাটিতে বসে জয়া দত্ত একটি কাচের গ্লাসে জলে চুমুক দিচ্ছেন। কোনওটায় দেখা যাচ্ছে খোয়াই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুদীপ রাহার। আবার খোয়াই থানার একটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কুণাল ঘোষও জলের গ্লাসে চুমুক দিয়ে পাশের একজনের হাতে গ্লাসটি দিচ্ছেন। ঠিক সেই সময়েই তাঁর পিছনে থাকা সুদীপের হাতে দেখা যাচ্ছে একটি বেগুনি রঙের জলের বোতল।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য জয়া দত্তকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। যদিও জয়া এখনও এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। হতে পারে তাঁর শরীর ঠিক নেই। এরপর কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই জল তো আমাদের কর্মীরা এনে দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে পুলিশের কী সম্পর্ক। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যাঁদের আটক গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করাই হয়নি এমনকি জল, খাবার কিচ্ছু দেওয়া হয়নি।’
কুণাল আরও বলেন, ‘এর জন্য পুলিশকে আমরা দোষ দিই না। ওঁরা ওঁদের উপরতলার আজ্ঞাবাহক। ওঁরা আমাদের কাছে বলেওছেন যে ওঁদের কিছু করার নেই।’