
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্যাঙ্গং সো থেকে পিছিয়ে আসার পরেও স্বস্তি হয়নি চিনের সেনার। ভারতের সীমান্ত বরাবর এবার ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালাতে পারে লাল ফৌজ। যদিও চিনের মিডিয়ার দাবি, প্রতিরক্ষার স্বার্থেই সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করবে পিপলস লিবারেশন আর্মি। তবে ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্তে সেনার বিন্যাস নজরে রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সশস্ত্র ড্রোন ওড়াতে পারে চিন।
জিজে-১ ও জিজে-২ নামে দুটি সশস্ত্র চপার ড্রোন তৈরি করছে চিন। সূত্রের খবর, এই ড্রোন দুটি থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে।দিনে ও রাতে নজরদারি চালাতে পারবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর এসেছে, ঝাও বো ও শি ঝিলং নামে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে আসা হয়েছে লাল ফৌজের সেনা ঘাঁটিতে। এই দুজনই তৈরি করছে সশস্ত্র ড্রোন।
এমনিতেও প্যাঙ্গং লেক সরে গেলেও পুরোপুরি সেনা তোলেনি চিন। বরং প্যাঙ্গং থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে রুটগ ঘাঁটিতে নতুন করে কাঠামো বানাতে দেখা গেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে। নতুন উপগ্রহ চিত্র দেখিয়েছে, রুটগ বেসে ছোট ছোট ঘর তুলছে চিনের সেনা। সেখানে সামরিক সরঞ্জাম রাখার ব্যবস্থাও আছে। এই রুটগ ঘাঁটি থেকে প্যাঙ্গংয়ের ওপর নজরদারি করাও যায়। কাজেই প্রয়োজন হলে চিনের বাহিনী যে ফের তাদের সীমা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে, এ ধারণা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যবেক্ষকরা।
ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ প্যাঙ্গং থেকে সেনা ও সামরিক কাঠামো সরিয়ে নিয়েছে চিনের বাহিনী। অস্ত্রশস্ত্র ট্রাকে তুলে, তাঁবু গুটিয়ে তাদের ফিরে যেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু একেবারেই কি ফিরে গেছে চিনের সেনা, তা কিন্তু নয়। সেনা সূত্র বলছে, ডিসএনগেজমেন্ট বা সেনা পিছনোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে দেখা গেছে, লাল ফৌজ তাদের রুটগ বেসে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তার আগে থেকেই এই ঘাঁটি সাজিয়ে তোলার কাজ চলছিল। এখানকার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, সেখানে ছোট ছোট ঘরের মতো কাঠামো তৈরি হয়েছে। ক্যাম্প খাটানো হয়েছে। অস্ত্র রাখার জায়গাও আছে। রাইফেল ডিভিশনও মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে ভারতীয় সেনাও প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নজরদারি বাড়াতে ইজরায়েলি সশস্ত্র হেরন ড্রোন উড়িয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এই ড্রোন থেকেও অস্ত্র ছোড়ার প্রযুক্তি আছে। পাশাপাশি নজরদারিও চালাতে পারে। হাজার কিলোগ্রামের বেশি ওজন বইতে পারে এই ড্রোন। এতে রয়েছে ইলেকট্রো-অপটিক্যাল টার্গেট সিস্টেম। রাতের বেলাতেও কাজ করতে পারে এই ড্রোন। এর বিশেষ ক্যামেরা যে কোনও আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় শত্রু ঘাঁটির ছবি তুলে আনতে পারে। কাজেই প্রযুক্তির দিক থেকে চিনের বাহিনীকে সহজেই কুপোকাৎ করতে পারে ভারতের জওয়ানরা।