
করোনা রোগীদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে–মৃদু, মাঝারি ও সিভিয়ার বা গুরুতর। কারা থাকবেন হোম আইসোলেশনে ও কারা হাসপাতালে ভর্তি হবেন, তার গাইডলাইন দিয়েছে আইসিএমআর, এইমস ও কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের মনিটরিং টিম।
কী কী বলা হয়েছে গাইডলাইনে–
• কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় স্টেরয়েড একেবারেই চলবে না। সংক্রমণ বুঝে অল্প ডোজে ব্যবহার করতে পারেন চিকিৎসকরা। কোভিড চিকিৎসায় স্টেরয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগ ছড়াতে পারে। দেখা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে স্টেরয়েড নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি কমে গেলেই মিউকরমাইকোসিস জাঁকিয়ে বসতে পারে।
• হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ডায়াবেটিস থাকলে ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। ব্লাড সুগার লেভেল ১০০-১১০ এর চেয়ে বেশি হলে ঝুঁকি বেশ। ১৪০ ছাড়িয়ে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। এইচআইভি-র রোগী, ডায়াবেটিস মেলিটাস, ক্যানসার, কিডনির রোগে আক্রান্তদের এই ছত্রাকজনিত সংক্রমণের শঙ্কা বেশি। তার ওপর স্টেরয়েড বা কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেলে ঝুঁকি আরও বাড়বে।
AIIMS/ICMR-COVID-19 National Task Force/ Joint Monitoring Group (Dte.GHS), @MoHFW_INDIA issues Clinical Guidance for Management of Adult COVID-19 Patients revised on 14/01/2022. It is accessible at https://t.co/yvgOGSwOFK@PIB_India @mygovindia #CoronaUpdatesInIndia pic.twitter.com/Wj97STgH7H
— ICMR (@ICMRDELHI) January 17, 2022
• মৃদু বা মাইল্ড কেসের রোগীদের বাড়িতেই থাকতে হবে আইসোলেশনে। মৃদু সংক্রমণের উপসর্গ কী–আপার রেসপিরেটারি ট্র্যাক্টের কোনও সমস্যা নেই, শ্বাসকষ্ট বা দম নিতে সমস্যা নেই, হাল্কা জ্বর ও কাশি থাকতে পারে। জ্বর কমে গেলেও কাশি টানা পাঁচ দিন চলতে পারে।
• মাঝারি উপসর্গের লক্ষণ কী কী–শ্বাসপ্রশ্বাসের মাত্রা মিনিটে ২৪ এর কম বা সমান, অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-৯৩ শতাংশ, শ্বাসের সমস্যা নেই।
• এই রোগীরা নিয়মিত প্রোনিং করতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মিথাইলপ্রেডনিসোলোন ০.৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম/ কেজি খাওয়া যেতে পারে।
• ৫-১০ দিন ডেক্সামিথাসোন খাওয়া যেতে পারে। অক্সিজেন সাপ্লিমেন্টের দরকার নেই।
• সিভিয়ার কেস হলে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের কম হবে।
• বেশি জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। পাঁচ দিনের বেশি এমন উপসর্গ থাকলে আইসিইউতে রেফার করতে পারেন চিকিৎসকরা।
• কোমর্বিডিটি যেমন ক্যানসার, হার্টের রোগ, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুসের রোগ, এইচআইভি থাকলে বাড়তি সতর্কতা দরকার।