
লাদাখের পরে অরুণাচল-সিকিম সীমান্তে কে-৯ হাউইৎজার, চিনা ফৌজকে ঢুকতেই দেবে না ভারত
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে এখনও সেনা সরায়নি চিন। অন্যদিকে, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তেও তৎপর লাল ফৌজ। পার্বত্য এলাকায় চিনা বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখতে শক্তিশালী কে-৯ হাউইৎজার কামান মোতায়েন করছে ভারতীয় বাহিনী।
সূত্রের খবর, এখন আরও ২০০ টি হাউইটজ়ারের বরাত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলিকে উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ সহ পূর্বাঞ্চলের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় মোতায়েন করা হবে বলে খবর।
ভারতের হাতে যে বফর্স কামান রয়েছে সেগুলি লাদাখের মতো দুর্গম এলাকায় পাঠানো সম্ভব নয়। তাই ভারতের দরকার ছিল হাল্কা ও আধুনিক হাউইৎজারের। ১৪৫টি এম-৭৭৭ হাউইৎজার কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল ভারত। ২০১৭ সালে প্রথম আলট্রা-লাইট হাউইৎজার আসে ভারতের হাতে। কৌশলগত বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেভাবে উত্তাপ বাড়ছে তাতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করতে ভারতীয় সেনার আর্টিলারি বাহিনীর জন্য হাউইৎজার কামান বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।
হাউইৎজার টাইটেনিয়ামের তৈরি। ওজনে ৪ টনের কাছাকাছি। সহজেই আকাশপথে উড়িয়ে এই কামানগুলিকে যে কোনও দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এম-১০৭, এম-৭৯৫, ইআরএফবি ও এম৯৮২—এই চার ধরনের গোলা ভরা যায় এই কামানে। ২৪-৪০ কিলোমিটার রেঞ্জ অবধি ভারী গোলাবর্ষণ করতে পারে হাউইৎজার কামান। মিনিটে দুই থেকে পাঁচটি গোলা ছুড়তে পারে হাউইৎজার।
লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ এই রাজ্যগুলিকে ছুঁয়ে রয়েছে চিনের সীমান্ত। লাদাখ তো বটেই, সিকিম, অরুণাচলে মাঝে মাঝেই চিনের বাহিনীর দাপট দেখা যায়। এতদিন বিভিন্ন সীমান্তে ভারতের ভূমিকা ছিল আত্মরক্ষার, কিন্তু এখন সীমান্তে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা নিয়ে যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই তৈরি ভারত। বরং ভারতের বাহিনীর সামরিক প্রস্তুতি লাল ফৌজেরও চিন্তার কারণ। চিনের বাহিনী আগ্রাসন দেখালে এখন আর শুধু ডিফেন্স নয় কঠোর প্রত্যাঘাত বা কাউন্টার-অফেন্সের জন্যই সবরকমভাবে প্রস্তুত ভারত। যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা দেশের বাহিনীর আছে।