
চলতি বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে এদিন লালকেল্লায় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় তেরঙার যে অবমাননা করা হয়েছে তাতে আমি দুঃখিত। এই ঘটনা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না।” এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আইন আইনের পথে চলবে।”
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে লালকেল্লায় কৃষকদের ঢুকে পড়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় কেল্লার কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মেরামতির জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কেল্লা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
সংঘর্ষের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, “যারা অন্যদের উস্কিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লালকেল্লায় যেভাবে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে তা বরদাস্ত করবে না দেশ।” মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের একাংশ ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন। তাঁদের হাতে ছিল লাঠি ও পতাকা। ‘নিশান সাহিব’ নামে একটি ধর্মীয় পতাকা তাঁরা লালকেল্লায় উড়িয়ে দেন। লালকেল্লার অভ্যন্তরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে তাড়া করেন।
দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক মহলও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উস্কানি দেওয়া ও যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৫টি বেশি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০০ জনকে আটক ও অন্তত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ কৃষক সংগঠনগুলির নেতাদের নোটিস পাঠিয়েছে। হিংসার ঘটনায় তাঁদের কী ভূমিকা ছিল তা জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে তাঁদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা নামের যে ব্যানারের তলায় ৪০টি কৃষক সংগঠন লড়াই করছে, তারা জানিয়ছে এই নোটিসে তাদের বিশেষ কিছু যায় আসে না। নিজেদের দাবি থেকে সরতে নারাজ তারা।