
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিনেই শপথ কেজরিওয়ালের, যেতে পারেন মমতা
১৪ ফেব্রুয়ারি কেজরিওয়ালের শপথে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কর্ণাটকে কুমারস্বামী শপথ নেওয়ার সময়, কিংবা ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথে হাজির ছিলেন মমতা। ছিলেন কেজরিওয়ালের। উনিশের লোকসভার আগে ব্রিগেডে যে বিরোধী ঐক্যমঞ্চ হয়েছিল, তার স্পিরিটকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তৃণমূলনেত্রী।
ভোটের কয়েক মাস আগে রাজধানীর জন্য একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেজরিওয়াল। ফ্রিতে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ, বিনামূল্য জল, উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসে মহিলাদের বিনামূল্যে যাতায়াতের মত প্রকল্প চালু করেছেন কেজরি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আপ প্রধানের এই প্রকল্পের ফল ভোটের উপর পড়েছে। নিম্নবিত্ত জনসাধারণ আরও বেশি করে ভোট দিয়েছে আপকে। এমনকি বিজেপিও বলেছে, আপের জেতার অন্যতম প্রধান কারণ জীবনধারণের এই সব সুযোগ-সুবিধা চালু।
ভোটের ছবিটা স্পষ্ট হতেই তাই মানুষের সামনে সেই ভালবাসাকেই তুলে ধরলেন কেজরিওয়াল। বললেন, মানুষের ভালবাসা আপের সঙ্গে ছিল। আর তাই বিরোধীরা অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেনি। উন্নয়নের পক্ষে, আদর্শ প্রশাসনের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে মানুষ। এই ভালবাসার মান রাখতেই হয়তো ভালবাসার দিনকেই নিজের শপথের দিন হিসেবে ঠিক করলেন কেজরি। ওইদিন রাজধানীর মানুষদের ভালবাসা নিয়ে নিজের তৃতীয় ইনিংস শুরু করবেন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি কেজরিওয়ালের শপথে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কর্ণাটকে কুমারস্বামী শপথ নেওয়ার সময়, কিংবা ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথে হাজির ছিলেন মমতা। ছিলেন কেজরিওয়ালের। উনিশের লোকসভার আগে ব্রিগেডে যে বিরোধী ঐক্যমঞ্চ হয়েছিল, তার স্পিরিটকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তৃণমূলনেত্রী। এই কারণেই কেজরিওয়ালের শপথেও দেখা যেতে পারে তাঁকে। দেখা যেতে পারে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির প্রধানদেরও।
এদিন দিল্লি ভোটে আম আদমি পার্টির জয়ের সম্ভাব্য ছবিটা পরিষ্কার হতেই তাই আর দেরি করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, দিল্লিতে ঘৃণার রাজনীতি হেরেছে, গণতন্ত্র জিতেছে। ভারতের বহুত্ববাদকে সুরক্ষিত রেখেছে জনতাই। মমতার কথায়, “আস্ত একটা কেন্দ্রীয় সরকার তার সর্বস্ব শক্তি ঢেলে দিয়েছিল গায়ের জোরে দিল্লি দখল করবে বলে, কিন্তু পারেনি। দিল্লির মানুষ ঘৃণার রাজনীতিকে হারিয়ে দিয়েছে”। মমতার আরও বলেন, “মানুষ এই ঘৃণা ও ভাগাভাগির রাজনীতি পছন্দ করে না। তারা উন্নয়ন চায়, রোটি-কাপড়া-মকান চায়। যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানেই বিজেপির হার অব্যাহত।” এমনকি কেজরিওয়ালকে ফোন করেও শুভেচ্ছা জানান তিনি।