Latest News

লখিমপুরের হিংসায় ধৃত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত

দ্য ওয়াল ব্যুরো: লখিমপুরের (Lakhimpur) হিংসায় চার কৃষক সহ আটজনকে গাড়ি চাপা দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করল আদালত। শনিবার রাতেই আশিসকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেদিন রাতেই আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। আদালত তখন ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।

আশিস মিশ্রকে পুলিশ রিমান্ডে রাখার আবেদন পেশ করা হয়েছিল আদালতে। তবে আদালত তখন এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেয়নি। বলা হয়েছিল, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এই বিষয়টি শুনবেন। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করা হয়।

লখিমপুর খেরির ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গাড়ির চালকের আসনে আশিস মিশ্র থাকায় তাঁকে খুনের অভিযোগে তলব করা হয়। কিন্তু শুক্রবার সেই তলব এড়িয়ে যায় আশিস। এরমধ্যেই শুক্রবার বিকেলে অজয় মিশ্রের বাড়ির বাইরে আইনি নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। নোটিশে স্পষ্ট লেখা, যদি শনিবার হাজিরা না দেয় তাহলে আশিসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপরে শনিবার প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় আশিসকে।

ধরা পড়ার পরে আশিস পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ঘটনার সময়ে তিনি অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন। গাড়ি নিয়ে কোথাও যাননি। তিনি বলেন, “ওই থর জিপটি আমার। আমাদের ড্রাইভার হরিওম মিশ্র গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমার বন্ধু এবং বিজেপি কর্মী অঙ্কিত দাস ওই গাড়ির মালিক। তিনি গাড়ি দুটি নিয়ে প্রধান অতিথিদের আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি কোথায় গেছেন আমি জানি না। ঘটনার পর থেকে অঙ্কিত আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি।” নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একাধিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজও পেনড্রাইভে করে নিয়ে পুলিশকে জমা দিয়েছেন আশিস।

গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্যের। মন্ত্রীদের আসার পথেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। আচমকাই কনভয় থেকে একটি এসইউভি গাড়ি দুরন্ত গতিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের ধাক্কা মারে। ঘটনায় ৪ কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন তাঁর ছেলে ঘটনাস্থলে ছিলেন না, গাড়ির ড্রাইভারই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছিলেন।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকাসুখপাঠ

You might also like