
১০ বছর বাড়ির ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন, অবশেষে প্রেমিকাকে বিয়ে কেরলের সেই যুবকের
আরও পড়ুন—-বড় ঘোষণা বিরাটের, বিশ্বকাপের পরেই ছাড়ছেন…
সাজিথার অভিভাবকরা বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে রহমানের যে আত্মীয়স্বজনরা দুজনের সম্পর্কে নারাজ ছিলেন, তাঁরা কেউ আসেননি। বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে নেনমারার বিধায়ক কে বাবু প্রতিশ্রুতি দেন, নবদম্পতি নিজেদের বাড়ির স্বপ্নপূরণে সব সাহায্য পাবে।
রহমান, সাজিথা-দুজনেই আইলুর গ্রামের। বয়স ত্রিশের কোঠায়। রহমানের বাড়ির একটি ঘরে সবার অজান্তে একটি দশক সাজিথা কাটিয়ে দিয়েছেন, এটা প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ময় ছড়ায়। সেই থেকে দুজনে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন।
একটি মেয়েকে ঘরে আটকে রাখা অন্যায় বলে জানিয়ে রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেরল রাজ্য মহিলা কমিশন। পুলিশ অবশ্য জানায়, সাজিথা ১০ বছর রহমানের বাড়িতে একটি ঘরে থাকাকালে তাঁর সম্পূর্ণ দেখভাল করতেন রহমানই। সেই ঘরের সঙ্গে কোনও শৌচাগার না থাকায় সাজিথা রাতে জানালা টপকে বাইরে বেরিয়ে বাথরুমে যেতেন। দিনের বেলায় ঘর বন্ধ থাকত।
১০ বছর আগে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে আসেন সাজিথা। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮। তিনি রহমানের বাড়িতে এসে ওঠেন। সাজিথার পরিবার কিছু টেরই পায়নি কোনওদিন। রহমানও সুনিশ্চিত করেন, সাজিথা লুকিয়ে আছে তাঁর ঘরে, বাড়ির লোকজন টের পাবে না। এজন্য তিনি ঘরে বিশেষ লক লাগান, বাড়ির লোকজন তাতে হাত লাগাতে পারতেন না।