
সেনা সূত্র বলছে, সোপিয়ানে ডেরা বেঁধেছে জঙ্গিরা। তাদের গোপন আস্তানা খুঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে। দুই জঙ্গি নিকেশ হয়েছে, তবে তারা কোন সংগঠনের এখনও জানা যায়নি। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। গত সপ্তাহে পুলওয়ামার পম্পোরে অভিযান চালিয়ে লস্কর কম্যান্ডার উমর মুস্তাক খাণ্ডেকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। এই খাণ্ডে লস্কর গোষ্ঠীর অন্যতম সক্রিয় কম্যান্ডার ছিল। সেনার হিটলিস্টেও নাম ছিল খাণ্ডের। এই জঙ্গিকে নিকেশ করা বড় সাফল্য বলেই জানাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।
গোয়েন্দা অফিসাররা বলছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তানে গিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়। বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্র চালনা, ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি)-র ট্রেনিংও দেওয়া হয় তাদের। আত্মঘাতী জঙ্গি বা ফিদাঁয়ে তৈরির প্রশিক্ষণও চলে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সম্প্রতি কাশ্মীরের নিরীহ বাসিন্দাদের টার্গেট করছে জঙ্গিরা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের খুন করা হচ্ছে। সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি ভাঙার পাশাপাশি উপত্যকার গ্রামগুলিতে নাশকতা জিইয়ে রাখার প্রচেষ্টা চলছে।
জুলাই মাসেই লখনৌ থেকে দুই আল কায়দা জঙ্গি ও তাদের এক শাগরেদকে ধরে পুলিশ। লখনৌ, কাশী, মথুরা, অযোধ্যায় হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। মথুরা ও কাশীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রও ছিল বলে অনুমান। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রেসার কুকার বোম সহ প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।