
দেবভূমি দ্বারকার পুলিশ সুপার সুনীল জোশি বলেন, ‘জলপরী’ নামে মাছ ধরার নৌকোয় থাকা মহারাষ্ট্রের এক মত্স্যজীবী পিএমএসএ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় মত্স্যজীবীদের ওপর গুলি চালায় পাক বাহিনী। মাছ ধরার নৌকোয় সাতজন ছিলেন। নিহত মত্স্যজীবী শ্রীধর রমেশ চামরের দেহ রবিবার ওখা বন্দরে নিয়ে আসা হয়। ৩২ বছরের যুবকের মৃত্যুর ব্যাপারে নভি বন্দর পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। গুজরাতে আরব সাগরের ১২ নটিক্যাল মাইলের বাইরে যে কোনও ঘটনা তাদের এক্তিয়ারে পড়ে।
নিহত মত্স্যজীবী মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাদরাই গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার বাসিন্দারা তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাছ ধরার নৌকোর মালিক জয়ন্তীভাই রাঠোর জানিয়েছেন, চামরে নৌকার কেবিনে ছিলেন। সেখানে গুলি লাগে তাঁর শরীরে। বুক ফুঁড়ে যায় তিনটি বুলেট। সেখানেই মারা যান তিনি। নৌকার ক্য়াপ্টেনও পাক বাহিনীর নির্বিচার গুলিচালনায় জখম হন।
বহু বছর ধরেই গুজরাতে সমুদ্র এলাকায় ভারতীয় মত্স্যজীবীদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিচালনা, তাদের ধরে নিয়ে আটকে রাখার মতো ঘটনা ঘটছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ২৭০ জন ভারতীয় মত্স্যজীবী ও ৪৯ জন অসামরিক বন্দি তাদের জেলে আছে বলে জানায়। একই সময়ে ৭৭ জন পাকিস্তানি মত্স্যজীবী ও ২৬৩ জন অসামরিক পাক নাগরিক ভারতের হেফাজতে আছে বলে রাজ্যসভায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়।
২০১২র ফেব্রুয়ারিতে কেরল উপকূলে ভারতের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের ভিতরে মাছ ধরার নৌকায় থাকা ২ ভারতীয় মত্স্যজীবীকে গুলি করে মেরেছিল ইতালির তেলের ট্যাঙ্কারে থাকা সেদেশের দুই নৌসেনা। জোর আলোড়ন হয়েছিল সে ঘটনায়।