
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ ভাবেও সোনা পাচার (Gold Smuggling) সম্ভব! কখনও জুতোর সোলে, কখনও টেপ দিয়ে শরীরের মধ্যে জড়িয়ে, কখনও ট্রলির চাকায় আবার কখনও সোনা গলিয়ে মলের মতো আকার দিয়ে অন্তর্বাসে পুরে— নানা উপায় সোনা পাচারের উদাহরণ ভূরি ভূরি। মলদ্বারে সোনা ঠেসেও পাচারের নিদর্শন কিছু কম নেই। তাও এমন ভাবে? যুবককে পাকড়াও করে তাজ্জব শুল্ক দফতরের দুঁদে অফিসাররা।
সন্দেহটা ছিলই। এয়ার ইনটেলিজেন্স ইউনিট খবর পেয়েছিল কান্নুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে চোরাগোপ্তা পথে সোনা পাচার হচ্ছে। কিন্তু নিরাপত্তার এত ঘেরাটোপ এড়িয়ে কীভাবে পাচারকারীরা লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা পাচার করছে তা জানতেই গোয়েন্দা অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছিল বিমানবন্দরে। আর অভিজ্ঞ অফিসারদের চোখেই ধরা পড়ে যায় পাচারকারী।
অফিসাররা বলছেন, এক যুবকের হাবভাব দেখেই সন্দেহ হয় তঁদের। তাকে পাকড়াও করে প্রথম তল্লাশিতে কিছু মেলেনি। পরে দেখা যায়, জিন্সের মধ্যেই কায়দা করে সোনা লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সে। এই লুকনোর কায়দাও অভিনব। সোনা গলিয়ে পেস্ট বানিয়ে তা জিন্সের কাপড়ের মধ্যে ভরে নিয়েছিল যুবক। জিন্সের প্যান্ট বানানো হয়েছিল দুটো লেয়ারে। কাপড়ের দুটো লেয়ারের মাঝে পাতলা করে সোনার পেস্ট ভরে নেওয়া হয়েছিল। গোটা ব্যাপারটাই এত নিখুঁত কায়দায় হয় যে, চট করে বোঝা সম্ভব নয়। তদন্তকারীরা বলছেন, প্যান্ট খুলে তা পরীক্ষা করে দেখে তবেই কৌশলটা ধরা পড়ে। ৩০২ গ্রাম সোনা যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা, কান্নুর বিমানবন্দর দিয়ে পাচার করছিল ওই যুবক।
ভারতেও বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে ড্রাগ ও সোনা পাচারের চেষ্টার খবর প্রায়শই সামনে আসে। কখনও খাদ্যনালীতে আবার কখনও পায়ু পথে সোনা বা ড্রাগ পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। পাচার কাজ সহজে চালানোর জন্য নিত্য নতুন কৌশল বার করছে পাচারকারীরা। ধরপাকড় সত্ত্বেও এই পাচারে রাশ টানা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিআইএসএফ।