Latest News

প্রতিবাদের অধিকার আছে, কিন্তু……কৃষকদের জবাব চেয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া  হোক কৃষক অবরোধ (farmers) (blockade)। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) জমা পড়েছে পিটিশন (petition)। আবেদনকারীর বক্তব্য, মাসের পর মাস রাজধানীর সীমান্ত এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়ছেন। প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। চার সপ্তাহের মধ্যে পিটিশনের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ও বাকি কৃষক ইউনিয়নগুলিকে বলল শীর্ষ আদালত।

পরের শুনানির দিন স্থির হয়েছে ৭ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন—শাহরুখের বাংলোয় এনসিবি হানা! জেল থেকে ছেলেকে দেখে ফেরার পরেই হাজির গোয়েন্দারা

সলিসিটর  জেনারেল তুষার মেহতা সরকারের তরফে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজধানীর বুকে নির্বিচার হিংসার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কৃষক সংগঠনগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিলে কোনও গণ্ডগোল হবে না, কিন্তু তারপরও সেদিন ব্যাপক হিংসার সাক্ষী থেকেছে নয়াদিল্লি।

পাল্টা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দাবি, তারা রাস্তা অবরোধ করেনি, করেছে পুলিশ।

বিচারপতি এস কে  কাউল,  বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চে মোর্চাকে প্রশ্ন করে, তাদের কি রাস্তা আটকানোর (right to blockade) অধিকার আছে? মোর্চা জানায়, রাস্তাঘাট পরিচালনা, সামলানোর কাজ পুলিশ ভাল করতে পারে, তারা না পারলে কৃষকদের রামলীলা ময়দান বা যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।

আগেই সুপ্রিম কোর্ট কৃষকদের জাতীয় সড়ক সহ রাস্তা অবরোধের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিল, যখন তিনটি বিতর্কিত কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের একটিও কার্যকর হয়নি, সর্বোচ্চ আদালতই সরকারের তরফে আশ্বাসের ভিত্তিতে জানুয়ারিতে ১৮মাসের জন্য সেগুলি স্থগিত রেখেছে, তখন কেন অবরোধ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সঞ্জয় কাউলের নেত়ৃত্বাধীন আরেক বেঞ্চ কৃষকদের রাস্তা অবরোধ থেকে বিরত থাকার রায়ের উল্লেখ করে বলেছিল, কৃষকদের ক্ষোভ, অসন্তোষের সমাধান হতে পারে সংসদ অথবা বিচারব্যবস্থায়। কিন্তু তারা হাইওয়ে অবরোধ করে যানচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে মানুষের দিল্লি থেকে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের আসা যাওয়ার রাস্তায় হয়রানি করবে, এটা হতে পারে না।

 

 

 

 

 

 

You might also like