
কৃষি আইনের বিরোধী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নেই বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতিতে, বাদ আর কারা?
বরুণ ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ভিডিওটা দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ। প্রতিবাদীদের মুখ খুন করে বন্ধ করা যাবে না। নিরপরাধ কৃষকের রক্তপাতের দায় নেওয়া উচিত, প্রতিটি কৃষকের কাছে ঔদ্ধত্য, নিষ্ঠুরতার বার্তা পৌঁছনোর আগে অবশ্যই ন্যয়বিচার দিতে হবে। এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরই নাড্ডা ৮০ জনের বিজেপি কর্মসমিতির তালিকা প্রকাশ করেন, যাতে নাম নেই বরুণ, তাঁর মা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধীর। বরুণ এর আগেও বলেছিলেন, লখিমপুর খেরির হিংসাকে প্রশাসনিক ব্যর্থতা হিসাবে দেখা ঠিক নয়, তা ব্যক্তিবিশেষ বা একদল লোকের অপরাধের ফল। অর্থাত্ ঘুরিয়ে তিনি ইঙ্গিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই। কৃষক আন্দোলনের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখানোর কথাও বলেন বরুণ।
বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য নেতা, এমনকী লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশীর মতো কোণঠাসা নেতাদেরও জায়গা হয়েছে।
সামনেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট। তার প্রাক্কালে ৮০ সদস্যের কর্মসমিতিতে নেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং, প্রাক্তন সাংসদ বিনয় কাটিয়ার, দলীয় এমপি রাজবীর সিং। রাজবীর কিছুদিন আগে প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের ছেলে। কল্যাণ ছিলেন লোধি সম্প্রদায়ের নেতা, যারা রাজ্যে বিজেপির ওবিসি সাপোর্ট বেসের একটা বড় অংশ। যদিও ওই সম্প্রদায়ের আরেক নেতা বি এল ভার্মার স্থান হয়েছে। জাতীয় কর্মসমিতির ৮০ জনের মধ্যে ১২ জন উত্তরপ্রদেশের। ৬ জন বিশেষ আমন্ত্রিতও রয়েছেন সেখানে।