
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিওয়ালির আগেই সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে রাজধানী (Delhi) ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে, এমনটাই আশঙ্কা করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। গোটা রাজধানী জুড়েই চলছিল তল্লাশি অভিযান। সোমবার রাতে দিল্লির রমেশ পার্ক ও লক্ষ্মী নগর এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে (Pakistani Terrorist) পাকড়াও করেন পুলিশ কর্তারা। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে তাদের থেকে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানাচ্ছে, রমেশ পার্ক এলাকা থেকে মহম্মদ আসরফ ওরফে আলিকে ধরা হয়েছে। তার জন্ম পাকিস্তানে। ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে দিল্লিতে বসবাস করছিল এতদিন। লক্ষ্মী নগর এলাকা থেকে উমারউদ্দিন নামে আরও একজন ধরা পড়েছে যার কাছেও পাকিস্তানের পরিচয়পত্র মিলেছে। ধৃতদের কাছ থেকে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৬০ রাউন্ড গুলি, হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি পিস্তল পাওয়া গেছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, মহম্মদ আসরফ ওরফে আলি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। কবে ভারতে ঢুকেছিল তা জেরা করে জানা হচ্ছে। এই আলির অস্ত্র প্রশিক্ষণ আছে। বিস্ফোরক বানানোর অভিজ্ঞতাও আছে। পুলিশের অনুমান, রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে এই দুজনের। ধৃতদের কাছে অস্ত্র কোথা থেকে চালান হয় তারও খোঁজ চলছে।
দুর্গাপুজোর সময় জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন সতর্কতা জারি হয়েছিল আগেই। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছিল, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে জঙ্গিদের স্লিপার সেলরা। জম্মু-কাশ্মীর থেকেও জঙ্গি ঢুকেছে বলে খবর মিলেছিল। এর পরেই হাই অ্যালার্ট জারি করে দিল্লি পুলিশ। রাজধানীর সমস্ত হোটেল, গেস্ট হাউস, রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলিতেও চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়।
জুলাই মাসেই লখনৌ থেকে দুই আল কায়দা জঙ্গি ও তাদের এক শাগরেদকে ধরে পুলিশ। লখনৌ, কাশী, মথুরা, অযোধ্যায় হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। মথুরা ও কাশীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রও ছিল বলে অনুমান। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রেসার কুকার বোম সহ প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে ১২টি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় ইমরান খানের দেশে। পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে নিশ্চিন্তে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাসী সংগঠন। এদের মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা সহ অন্তত পাঁচটি জঙ্গি গোষ্ঠীর টার্গেটে রয়েছে ভারত।