
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বীভৎস দৃশ্য ঝলসানো অফিসবাড়ির সামনে (Delhi Fire)। কেউ ঝুলছেন জানলা থেকে, কেউ মরিয়া হয়ে আঁকড়ে ধরেছেন দমকলের ক্রেন। আধপোড়া শরীরগুলোকে টেনে বের করা হচ্ছে বাড়ি থেকে। উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ। ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে ক্রেন নামানো হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, ওই বহুতলটিতে একটি অফিস ছিল। বাড়ির নীচে একতলায় যেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে সেখানে সিসিটিভি ও ইন্টারনেটের রাউটার তৈরির অফিস ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই আগুন লাগে। তারপর আগুনের লেলিহান শিখা গোটা বাড়িটাকেই গ্রাস করে। ওই কোম্পানির দুই মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সমীর শর্মা বলছেন, বাড়িটি যাঁর নামে সেই মণীশ লাকরা পলাতক। অফিসকে লিজ দেওয়ার আগে বাড়ির অনেক কাজই অসম্পূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি বাড়িটিতে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না।

পুলিশ জানাচ্ছে, যে সময় আগুন (Delhi Fire) লাগে সেই সময় বাড়ির দোতলায় একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনেকেই সেখানে ছিলেন। আগুন এত দ্রুত একতলা থেকে দোতলায় ছড়িয়ে যায় যে বেশিরভাগই বের হতে পারেননি। প্রাণ বাঁচাতে অনেককেই বাড়ির তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা যায়। দড়ি ফেলে নামার চেষ্টাও করেন অনেকে। স্থানীয়রা অনেককে উদ্ধারও করেন।
Delhi: দিল্লি মেট্রো স্টেশনের কাছে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, ঝলসে মৃত্যু ২৬ জনের
দমকল জানাচ্ছে, তারা বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুনের খবর পেয়েছিলেন। এর পরে ৩০ টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুনের কারণে অফিসবাড়িটি সম্পূর্ণ রূপে ভস্মীভূত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিল্ডিং থেকে ৫০ জনেরও বেশি লোককে সুরক্ষিত ভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আরও কিছু লোক গভীর রাত পর্যন্ত ভবনের ভিতরে আটকে ছিলেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই খোঁজ মিলছে না।