
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা। ল্যান্ডফল শুরু হয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মনদৌসের (Cyclone Mandous)। রাত দেড়টা নাগাদ পুদুচেরি ও শ্রীহরিকোটার মধ্যে আছড়ে পড়ে মনদৌস। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিমি। শক্তিশালী সাইক্লোনের দাপটে দুশোর বেশি গাছ উপড়েছে তামিলনাড়ু উপকূল সংলগ্ন এলাকায়। তুমুল বৃষ্টিতে রাস্তা জলমগ্ন। একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে বিমানও।

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ল্যান্ডফলের পরেই শক্তি কমতে থাকে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mandous)। এখন আবার দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চেঙ্গালপাট্টু জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ইস্ট কোস্ট রোড ও জিএসটি রোডে শয়ে শয়ে গাছ উপড়ে যান চলাচল পুরোপুরি বিপর্যস্ত।
চিংড়িহাটার পরে দুর্ঘটনা পার্ক সার্কাসে, ভোররাতে উল্টে গেল গাড়ি

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে চেন্নাইতে। একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ১৩টি ডোমেস্টিক ও ৩টি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করতে হয়েছে। ট্রেন চলাচলও বন্ধ।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে ভারতের তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে। বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ট্রলার ও নৌকাগুলিকে মাঝসমুদ্র থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস।