Latest News

অকাশ্মীরিদের নিশানা করছে জঙ্গিরা, অনুপ্রবেশ বাড়ছে, অস্ত্রশস্ত্র চালান হচ্ছে উপত্যকায়

দ্য ওয়াল ব্যুরো: উপত্যকাকে (Jammu and Kashmir) অশান্ত করে রাখার সবরকম প্রচেষ্টা করছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট তকফিরি জঙ্গিরা। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসাররা। সূত্রের খবর, উপত্যকায় জঙ্গিদের হাতে অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দিতে ড্রোন পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতোই তকফিরি জঙ্গিরা কাশ্মীরের নিরীহ বাসিন্দাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। নিশানায় অকাশ্মীরি ও মুসলিমরাও রয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানাচ্ছে, সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকছে লস্কর জঙ্গিরা। সম্প্রতি পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার অশান্ত সীমান্ত। সেনা-জঙ্গি গুলি বিনিময় চলছে দফায় দফায়।

গত সপ্তাহে মোট ১১ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনাবাহিনী। জঙ্গিদের গুলিতে সেনা অফিসারেরও প্রাণ গেছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে।

BSF Shoots Down Arms-Laden Pakistani Drone in J&K

পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকছে জঙ্গিরা। তবে জঙ্গি দমন অভিযানে বড় সাফল্যও পেয়েছে ভারতীয় বাহিনী। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছর ১৫ জুলাই অবধি মোট ৮৬ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে উপত্যকায়। মোট ১৬টি এনকাউন্টার হয়েছে। যার মধ্যে জুলাই মাসেই গত ২০ দিনে দশ বার জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। খতম হয়েছে ২০ জন জঙ্গি, যাদের মধ্যে চারজন পাকিস্তানের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তের ধারে ড্রোনের আনাগোনা লক্ষ করা যাচ্ছে প্রায়ই। জম্মু এলাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ড্রোন হামলা চালায়। এর পর থেকেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি ও এনকাউন্টার চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। জঙ্গিদের হাতে আধুনিক অস্ত্র রয়েছে।  চিনে তৈরি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে জঙ্গিদের কাছে। গ্রেনেড, চাইনিজ ব্ল্যাক স্টার পিস্তল, রাইফেল, নাইট্রোসেলুলোজ বিস্ফোরক ইত্যাদি। এই ধরনের বিস্ফোরক গত বছর পুলওয়ামা সেনা কনভয়ে হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৩৪৩.৯ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে সেনার সংখ্যা প্রায় তিনগুণ করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর তিনটি ব্যাটেলিয়ন দিবারাত্র সীমান্তে নজর রেখে বসে আছে। সেনাদের হাতেও রয়েছে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। রাতের অন্ধকারে চোরাগোপ্তা পথে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর বসানো হয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গেই টের পেয়ে যাবেন সেনা জওয়ানরা।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা সুখপাঠ

You might also like