
বাচ্চাদের জন্য আরও এক ভ্যাকসিন (Covovax) আসছে দেশে। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিনে আগেই অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এবার দেশের কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলেরও ছাড়পত্র পেল সেরামের তৈরি টিকা। জানা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন।
দেশে ওমিক্রন হানা দেওয়ার পরেই কমবয়সীদের জন্য দ্রুত টিকা নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনই বাচ্চাদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন ধীরে ধীরে আরও কয়েকটি সংস্থার ভ্যাকসিন শিশু ও কমবয়সীদের জন্য নিয়ে আসার কথাবার্তা চলছে। তার মধ্যেই একটি কোভোভ্যাক্স (Covovax)।
সেরাম কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে কোভোভ্যাক্স টিকা (Covovax) দেওয়া শুরু হবে দেশে। এই টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ টিম।
Novavax in global trials has demonstrated more than 90% efficacy. @SerumInstIndia's brand Covovax has completed bridging studies in India & has been granted Emergency Use Authorisation by DCGI for adults & for children above the age of 12. Younger age groups will follow shortly.
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) March 9, 2022
ভাইরাস দিয়েই ভাইরাসকে মারে কোভোভ্যাক্স (Covovax)
প্রোটিন ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স। এই টিকার ফর্মুলা মার্কিন কোম্পানি নোভোভ্যাক্সের তৈরি। ভারতে এই টিকা তৈরি ও ট্রায়াল করেছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট।
করোনাভাইরাসের জিনের এমন একটা অংশকে বেছে নিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে যা ভাইরাল প্রোটিনকে চিনে রাখতে পারে। সেই জিনের অংশ ব্যাকুলোভাইরাস নামে এক ধরনের ভাইরাসে ঢোকানো হয়েছে। এই ব্যাকুলোভাইরাস কীটপতঙ্গের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। এটিকে গবেষণাগারে বিশুদ্ধ করে তবেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। মথের কোষে ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করে দেখা গেছে সেটি এমন প্রোটিন তৈরি করে যা সার্স-কভ-২ ভাইরাসেরই মতো। শরীর এই প্রোটিন চিনে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি হয় শরীরে।
সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বয়সের ঊর্ধ্বসীমা উঠে গেল
ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ম্যাট্রিক্স এম নামক অ্যাডজুভেন্ট যোগ করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন করোনার স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে। দেহকোষের ACE-2 রিসেপটরের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হতে পারে। শরীরে ইনজেক্ট করলে খুব তাড়াতাড়ি দেহকোষের রিসেপটরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। ফলে করোনার স্পাইক প্রোটিন আর দেহকোষের রিসেপটরকে খুঁজেই পাবে না। কোষে ঢুকতে না পারলে সংক্রমণ ছড়াতেও পারবে না ভাইরাস।