Latest News

করোনা কালে ‘হাইব্রিড-লার্নিং’ শিখবেন শিক্ষকরা, বড় উদ্যোগ সিবিএসই বোর্ডের

দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা কালে শিক্ষাও এখন ডিজিটাল। গত দুবছর ধরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা পড়ে গেছে। লকডাউনের ফলে ইতিমধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এমনই চলবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। অনিশ্চিত এই সময়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা হল অনলাইনে পঠনপাঠন। অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার এই ব্যাপারটা এখনও অনেকের কাছেই সড়গড় নয়। কীভাবে পড়ালে ছাত্রছাত্রীরা বিষয়টা ভাল বুঝবে, কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে, কীভাবে প্রেজেন্টেশন দিতে হবে—এইসব প্রযুক্তি নির্ভর বিষয়ে পুরোপুরি জ্ঞান না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। এই জন্যই পড়ানোর পদ্ধতি নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে সিবিএসই (CBSE) বোর্ড।

ব্ল্যাকবোর্ডে লেখালিখি করে, হাতে বই নিয়ে পড়াতেই অভ্যস্ত শিক্ষকরা। করোনার কারণে আচমকাই সব বদলে যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রও ডিজিটাল নির্ভর হয়ে পড়ে। মোবাইল-ল্যাপটপের প্রযুক্তি জানা ছিল না যে শিক্ষকদের তাঁদেরও ডিজিটাল-টিচিং এই হাত পাকাতে হয়। সমস্যায় পড়তে হয় বহুজনকে। কোভিড পর্বে এসে ডিজিটাল মাধ্যমই যখন বিকল্প উপায়, তখন প্রযুক্তিগত বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারই উদ্যোগ নিয়েছে সিবিএসই বোর্ড। তাদের উদ্যোগ ‘হাইব্রিড-লার্নিং’। মানে হল, অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে পড়ানো যাবে তার ট্রেনিং দেওয়া, পাশাপাশি টেকনিক্যাল দিকটা নিয়েও বিস্তারিত বোঝানো। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর অবধি, প্রতি স্কুলের অন্তত দুই থেকে তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই হাইব্রিড-লার্নিং শেখানো হবে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।

শিক্ষকদের অনেকেই বলেছেন, ফিজিক্যাল টিচিংয়ে ছাত্রছাত্রীদের মুখ বা রিঅ্যাকশন দেখা যায়, কিন্তু অনলাইনে সবাইকে দেখা সম্ভব নয়। সামনাসামনি পড়ালে শিক্ষক ও পড়ুয়ার মধ্যে যে ইন্টার‍্যাকশন হয় অনলাইনে সেটা হয় না। তাছাড়া বোর্ড ওয়ার্ক করা যায় না। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কীভাবে বোঝানো যাবে তার ট্রেনিং নেবেন শিক্ষকরা। বোর্ডে লিখে পড়ানোর সুবিধা না থাকায় অনলাইনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিলে বুঝতে অনেক সুবিধা হয় ছাত্রছাত্রীদের, কীভাবে এই প্রেজেন্টেশন বানাতে হবে তারও বিস্তারিত পাঠ দেওয়া হবে শিক্ষকদের। ক্লাসরুম-টিচিং এর কোনও বিকল্প হয় না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন-টিচিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে বর্তমান প্রজন্ম। তাই এই বিষয়ে শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকাই দরকার বলে মনে করছে বোর্ড।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা সুখপাঠ

You might also like